ডিভিসির ছাড়া জলে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত খানাকুলের বিস্তীর্ণ এলাকা। মাথায় হাত চাষীদের।
Jazzbaat24বাংলা নিউজ ডেস্ক
বোরো চাষের জল ছাড়তেই ফের খানাকুলে ভাঙল বাঁধ। অকাল প্লাবন খানাকুলের একাংশে। এদিন সকালে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে চিংড়া পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ চাষের জমি। এখনও মাঠে আলু রয়েছে। আচমকা প্লাবনের জেরে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন চাষিরা। সেপ্টেম্বরের বন্যায় খানাকুলের চিংড়া পঞ্চায়েতের বলাইচকে মুণ্ডেশ্বরী নদীর শাখা খালে বাঁধ ভেঙেছিল। পরে সেই বাঁধ বাঁধা হয়। বর্তমানে বোরো চাষের জন্য জল ছেড়েছে ডিভিসি। সেই জল এসে পৌঁছতেই বলাইচকে বাঁধ নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এর জেরে চিংড়া পঞ্চায়েতের বলাইচক, কুমারচক, রঞ্জিতবাটি, কেটোদল সহ বহু গ্রামের চাষের জমি ডুবে গিয়েছে। এর জেরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিন সকালে অনেক চাষিকে তড়িঘড়ি মাঠের আলু তুলতে দেখা যায়। এবার বর্ষায় চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। ফের ক্ষতির মুখে পড়ায় কার্যত দিশেহারা অবস্থায় চাষিরা।
ডিভিসির ছাড়া বোরো চাষের জলে খানাকুলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি। সকাল থেকে বিঘার পর বিঘা আলু ও ধান চাষের জমি জলমগ্ন হওয়ার পর এবার গ্রামের রাস্তাঘাট ও বাড়িতেও ঢুকছে জল। খানাকুলের বলাইচক এলাকায় বহু একতলা বাড়ির ভিতরে জল ঢুকতে শুরু করেছে। কয়েকমাস আগের বন্যার ক্ষত এখনও শুকায়নি। তারই মধ্যে ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দুর্বিষহ অবস্থা এলাকার চাষিদের। ভোর থেকে উঠে জমিতে এক কোমর জলে নেমে তাঁরা আলু তোলার কাজ করছেন। পরিবারের সকল সদস্য ফসল বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন। এরপর আবার বাড়িতেও জল ঢুকতে শুরু করায় তাঁরা আরও বিপাকে পড়েছেন। বাড়ির আসবাবপত্র ফের ভিজতে শুরু করেছে এই জলে। বন্যায় ভেঙে যাওয়া বাঁধ কেন বাঁধানো হয়নি ও ডিভিসি এত পরিমাণ জল কেন ছাড়ল তাঁরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন খানাকুলের চাষিরা। তবে দিন বন্যা পরিদর্শনে গিয়ে খানাকুল ২নং ব্লকের বিডিও মধুমিতা ঘোষ জানান। এই সমস্ত চাষীদের আলু সরকার সুফল বাংলার মাধ্যমে কিনবে। এবং যতরকম সরকারি সাহায্য আছে তা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে আচমকা এই ডিভিসির ছাড়া জলে মাথায় হাত চাষীদের।