মহাকুম্ভের সমালোচকদের তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রবিবার মধ্যপ্রদেশের সাত্তারপুরের এক জনসভায় মোদি বলেন, “যারা হিন্দুদের ধর্মবিশ্বাস ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে কথা বলছে, তারা আসলে বহু শতাব্দী ধরে ক্রীতদাসের মানসিকতার শিকার।”
সম্প্রতি কুম্ভমেলা ঘিরে অব্যবস্থার নানা অভিযোগ উঠে এসেছে। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা, অগ্নিকাণ্ড, ট্রাফিক জ্যাম, ট্রেনে ব্যাপক ভিড়—এমনকি দিল্লি স্টেশনেও বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে উত্তরপ্রদেশ ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধী নেতারা। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব—অনেকে কুম্ভের অব্যবস্থাপনা নিয়ে সমালোচনায় মুখর। সেই সমস্ত বিরোধীদের একসঙ্গে পাল্টা আক্রমণ শানালেন মোদি।
সাত্তারপুরের মঞ্চ থেকে মোদি বলেন, “একদল নেতা আমাদের ধর্ম নিয়ে বিদ্রুপ করছে, অসম্মান করছে। এরা সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করতে চাইছে। এই কাজের পিছনে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে। ওরা চায় আমাদের দেশ ও সংস্কৃতি দুর্বল হয়ে পড়ুক।”
প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে হিন্দু ধর্মকে আক্রমণ করা হচ্ছে। “এই ক্রীতদাসের মানসিকতা থেকেই বছরের পর বছর ধরে আমাদের ধর্ম, মন্দির, সংস্কৃতি, আচার-অনুষ্ঠান, বিশ্বাসকে আঘাত করা হচ্ছে,” মন্তব্য মোদির।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে স্পষ্ট, কুম্ভমেলার সমালোচকদের তিনি হিন্দু-বিরোধী হিসেবেই তুলে ধরতে চাইছেন। বিরোধীদের কুম্ভ সংক্রান্ত প্রশ্ন তোলা মানেই হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা—এই বার্তাই সুকৌশলে প্রচার করছে বিজেপি।
Leave a comment
Leave a comment