গতকালের তুলনায় জল আরও বেড়েছে। এদিকে চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বলাইচকে যে অংশে বাঁধ ভেঙেছিল, সেই অংশ প্রাথমিকভাবে মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। বালির বস্তা ফেলে আপাতত জল আটকানোর চেষ্টা চলছে। এদিকে গতকাল কৃষি বিপণন দপ্তরের তরফে ৪০০ বস্তা আলু কেনা হয়েছিল। কিন্তু এদিন জল বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ জমিতেই চাষিরা আর আলু তুলতে পারছেন না। যে সব জমিতে জল একটু কম সেখানে আজও হাতড়ে আলু তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন চাষিরা। ফলে এদিন সরকারিভাবে আলু কেনার কাজও বন্ধ রয়েছে। চাষিদের দাবি, সরকার আরও আলু কিনুক। মাঠের ফসল মাঠেই পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে চোখে জল চাষিদের। তাঁরা ধারদেনা করে আলু চাষ করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁরা কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। জলের মধ্যে যে আলু রয়েছে, জল কমলেও তা তোলার মতো অবস্থায় থাকবে না বলেই চাষিদের আশঙ্কা। বলাইচক গ্রামে ঢোকার একাধিক ঢালাই রাস্তা ডুবে গেছে। এরফলে মানুষের যাতায়াতেও সমস্যা হচ্ছে। এদিনও পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এলাকা পরিদর্শনে এসেছেন।