যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অরবিন্দ ভবনের একতলায় উপাচার্যের ঘর ঘিরে রাতভর বিক্ষোভে উত্তাল ছাত্ররা। ঘরের মধ্যেই উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত আটকে, চারদিকে ছড়িয়ে শুয়ে আন্দোলনকারীরা। গোটা অফিস চত্বর যেন এক অস্থায়ী ঘুমঘর, কিন্তু প্রতিবাদের আগুন জ্বলছে চোখেমুখে।
অভিযোগ, গণহারে ফেল! বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ১৩০ জন ছাত্রের মধ্যে ১০৫ জনই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেননি। সেই কারণেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ছাত্ররা। তাঁদের দাবি, এত সংখ্যক ফেল হওয়া মানেই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে গলদ রয়েছে। দ্রুত পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানিয়ে উপাচার্যকে ঘেরাও করেন তাঁরা।
তবে উপাচার্যের ব্যাখ্যা অন্য। তাঁর কথায়, ফেল করা ছাত্রদের সংখ্যা কিছু কমবেশি হতে পারে, তবে গণিত বিভাগে অনেকে পাশ করতে পারেনি, এটা ঠিক। বিষয়টি বিভাগীয় শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, দেখছি সমস্যা কোথায়। কিন্তু আন্দোলনের প্রকৃত কারণ এটা নয়। বহু ছাত্র পরীক্ষার নম্বরপত্রে জালিয়াতি করে স্কলারশিপের আবেদন করেছিল, এবং তা ধরা পড়েছে। এখন ওরা চাইছে, আগের মতোই এসব চলতে দিতে হবে। আমি রাজি না হওয়াতেই আমায় আটকানো হয়েছে।
যদিও ছাত্রদের পাল্টা যুক্তি, আগেও নম্বর সংশোধন করা হয়েছে, এবারেও তা হওয়া উচিত। তবে রাতভর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে এখনও কোনো সমাধানসূত্র বের হয়নি। উপাচার্য স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি ছাত্রদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নিতে চান না, তবে অবৈধ দাবি মানার প্রশ্নই নেই। ফলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, তা নিয়ে কৌতূহল চরমে।