পুষ্টিগুণে ভরপুর কুমড়োর বীজ শুধু সুস্বাদুই নয়, শরীরের নানা উপকারেও আসে। এটি প্রোটিন, ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যেমন ম্যাগনেশিয়াম ও জিঙ্কের একটি চমৎকার উৎস। নিয়মিত কুমড়োর বীজ খাওয়া হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।
এই বীজ সহজেই দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় যোগ করা যায়। সকালের নাস্তায় ওটমিল বা গ্রানোলার সাথে এটি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। যারা সালাড খেতে পছন্দ করেন, তারা কুমড়োর বীজ টপিং হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। স্মুদি বা দইয়ের সাথেও এটি মিশিয়ে নেওয়া সম্ভব, যা স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি পুষ্টিগুণও বৃদ্ধি করে। অনেকে এটি পরোটার বা রুটির ময়দার সাথে মিশিয়ে খেয়ে থাকেন, যা খাবারকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
কুমড়োর বীজের অন্যতম বড় উপকারিতা হল, এটি হার্টের জন্য ভালো। এতে থাকা ওমেগা-৩ ও ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এ ছাড়াও, এতে উচ্চমাত্রার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও জিঙ্ক রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি হজমের জন্য উপকারী এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে সহায়তা করে।
এটি চুল ও ত্বকের জন্যও দারুণ উপকারী। এতে উপস্থিত মিনারেল ও ভিটামিন চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণ কুমড়োর বীজ খাওয়া শরীরের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে পারে।