অপরাধের জগতে ফাল্গুনীর প্রবেশ নতুন নয়। মধ্যমগ্রামে খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এই মহিলার অতীত ঘেঁটে জানা গেছে, আগেও চুরির অভিযোগে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছিল।
২০২১ সালে শিলিগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে নগদ টাকা ও সোনার গয়না চুরির অভিযোগ ওঠে ফাল্গুনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং তাকে গ্রেফতার করে। পুলিশের জেরার মুখে চুরির কথা স্বীকারও করে সে। আদালতের নির্দেশে কিছুদিন জেলে কাটিয়ে পরে জামিনে মুক্তি পায়।
এদিকে, মধ্যমগ্রামে পিসিশাশুড়িকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার পর টেলিভিশনে ফাল্গুনী ও তার মায়ের ছবি দেখে হতভম্ব হয়ে যান শিলিগুড়িতে থাকা তার আত্মীয়রা।
ফাল্গুনীর দাম্পত্য জীবনও ছিল সমস্যায় ভরা। ২০১৮ সালে অসমের জোড়হাটের বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু পরে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে মামলা করে সে। বর্তমানে বিবাহবিচ্ছেদের মামলাও চলছে। তার ভাশুর সপ্তক ঘোষ জানান, “ওর আচরণ সবসময়ই সন্দেহজনক ছিল। এরপর আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা করল।”
মঙ্গলবার ঘটে যাওয়া খুনের ঘটনায় সপ্তক জানান, নিহত সুমিতা ঘোষ সাধারণত জোড়হাটেই থাকতেন, তবে কীভাবে তিনি ফাল্গুনীর সংস্পর্শে এলেন বা কেন তার কাছে গেলেন, তা পরিবারের কারও জানা ছিল না।
২০২১ সালে ফাল্গুনীকে গ্রেফতার করা শিলিগুড়ি থানার এক অফিসার জানান, “ধরা পড়ার পরও সে নির্লিপ্ত ছিল। চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েও বিন্দুমাত্র অনুশোচনা ছিল না তার মধ্যে।”
Leave a comment
Leave a comment