আগেই ঘোষণা ছিল বাংলাদেশে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আসতে চলেছে নতুন রাজনৈতিক দল।প্রথমে ২৬ ফেব্রুয়ারি এক সমাবেশে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়। হিসেব মত শুক্রবারই আত্মপ্রকাশ করছে সেই দল। আর বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর তথ্য অনুযায়ী আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের নাম হচ্ছে ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’।
রাজনৈতিক এই দলের আহ্বায়ক অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।তথ্য ও সম্প্রচার এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। মঙ্গলবারই তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যেই ছিল তার এই পদত্যাগ।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী নতুন এই দলে সদস্যসচিব পদে আখতার হোসেনের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। এ ছাড়া নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান সমন্বয়কারী, সামান্তা শারমিন জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক, হাসনাত আবদুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, সারজিস আলমকে উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, আবদুল হান্নান মাসউদকে যুগ্ম সমন্বয়ক ও সালেহ উদ্দিন সিফাতকে দপ্তর সম্পাদক পদে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যৌথ বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত পাকা হয় বলে জানা গেছে।
সূচী মত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে নতুন এই দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান হবে। সেখানে দলের শীর্ষ পদে মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হবে। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের পর আলোচনায় ও ক্ষমতায় উঠে আসা শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল কেমন হবে, নতুন দল কতটা মানুষের কাছে যেতে পারবে, কতটা গ্রহণযোগ্য হবে তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই।অনেকে ছাত্র সমাজের এই ভাবে রাজনৈতিক দল গড়ার পিছনে আসলে ক্ষমতার বৃত্তে ঢুকে পড়ার বাসনা রয়েছে বলে কটাক্ষ করেছেন।নতুন দলের নেপথ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাত রয়েছে বলে দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ছাত্ররা দল গঠন করতে যাচ্ছে এবং এটা দরকার বলেই জানিয়েছিলেন।