ট্যাংরা হত্যাকাণ্ডের একমাত্র জীবিত সাক্ষী, বছর চোদ্দোর এক কিশোর, নিজের বাবার কাছে নয়, কাকিমার বাবা-মায়ের কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের সামনে সে স্পষ্ট জানায়, “আমার বাবাও আমায় মারতে চেয়েছিল। কাকিমার বাবা-মা আমায় খুব ভালোবাসেন, আমি তাঁদের সঙ্গেই থাকতে চাই।” তবে তার এই চাওয়া পূরণ হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
সূত্রের খবর, কিশোরটির জন্মপরিচিত দাদু-দিদিমা কেউই বেঁচে নেই। তাই তার দায়িত্ব নিতে কাকিমার বাবা-মায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল। কিন্তু পারিবারিক মতবিরোধ থাকায় তাঁরা এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। শিশু সুরক্ষা কমিশন তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করছে, যাতে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত কিশোরটি সরকারি সহায়তা পেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে শিশুটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আপাতত তাকে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে, যেখানে সে কার্যত পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে। পাশের ঘরেই তার বাবা চিকিৎসাধীন থাকলেও তাদের দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
শিশু অধিকার কর্মীদের মতে, দীর্ঘ সময় পার হলেও কিশোরটির নিরাপত্তা ও মানসিক স্থিতিশীলতার বিষয়টি উপেক্ষিত রয়ে গেছে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই তাকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির মাধ্যমে সুরক্ষিত আশ্রয় দেওয়ার প্রয়োজন। আত্মীয়দের সম্মতি না মিললে সরকারি হোম বা ‘ফিট পার্সন’ নির্ধারণের মাধ্যমে তার দেখভালের ব্যবস্থা করা হতে পারে। কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও, এই ছোট ছেলেটির ভাগ্য এখনো অজানা।
Leave a comment
Leave a comment