ওড়িশার চলচ্চিত্র জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের জীবনপ্রদীপ নিভে গেল। জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তম মহান্তি ৬৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে। দীর্ঘদিন ধরেই নানান শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি লিভারের সিরোসিস ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন, যার ফলে শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। প্রথমে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে দিল্লিতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানেন তিনি।
উত্তম মহান্তির অকালপ্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওড়িশার বিনোদন জগতে। মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি গভীর শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, “উত্তম মহান্তির চলে যাওয়া ওড়িয়া চলচ্চিত্রের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তবে তাঁর অবদান চিরকাল দর্শকদের হৃদয়ে অমলিন থাকবে।”
১৯৫৮ সালে জন্মগ্রহণ করা উত্তম মহান্তি ১৯৭৭ সালে ‘অভিমান’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ওড়িশার সিনেমা দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করেন। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের হৃদয় জয় করে নেন তিনি। ‘চকোলেট বয়’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এই অভিনেতা একের পর এক জনপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘নিঝুম রাতিরা সাথী’, ‘তপস্যা’, ‘রামায়ণ’, ‘দন্ড বালুঙ্গা’ প্রভৃতি। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর অনস্ক্রিন জুটি দর্শকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
তাঁর মৃত্যুতে ওড়িশার সংস্কৃতি ও চলচ্চিত্র মহলে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। যদিও শারীরিকভাবে তিনি আর নেই, তাঁর অনবদ্য অভিনয় ও সিনেমাগুলি দর্শকদের মনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
Leave a comment
Leave a comment