দীঘা জগন্নাথ মন্দির প্রতিষ্ঠার পূর্বে মন্দির পরিদর্শনে এলেন পুরী জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি শ্রী রাজেশ মহারাজ।এদিন উপস্থিত ছিলেন রামনগরে বিধানসভার বিধায়ক প্রাক্তন মন্ত্রী অখিল গিরি, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা শাসক পূর্ণেন্দু মাঝি সহ প্রশাসনিক দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত আধিকারিকেরা। জগন্নাথ মন্দিরের পাশাপাশি মাসির বাড়ি অর্থাৎ ওল্ড দীঘা পুরানো জগন্নাথ মন্দিরে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখলেন তিনি। আগামী ৩০ শে এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মন্দিরের শুভ উদ্বোধন হবে। তার আগেই জোর প্রশাসনিক তৎপরতায় শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে নবান্নে দেখা করেন পুরী জগন্নাথ মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি শ্রী রাজেশ মহারাজ। এই দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে আলোচনা হয় তাঁর সাথে মূখ্যমন্ত্রীর। পুরীর মন্দির এর পর এই দীঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে জোর কদমে তৎপরতা চলছে এখন। অক্ষয় তৃতীয়া তিথির দিন এই মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। এই মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলে তৎপরতা। রাজনৈতিক ভাবেও এই মন্দিরকে ঘিরে শুরু হয়েছে নানা উদ্যোগ। পুরীর জগন্নাথ মন্দির এর পর দীঘার জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করে একটা ভালো প্রভাব ফেলতে চাইছে তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে। একদিকে হিন্দুদের ভোট ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নিজেদের দিকে আনতে আর অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির অন্যতম নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে কিছুটা চাপে রাখতে এই মন্দির রাজনীতি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। হিন্দুত্ব যে শুধুই বিজেপির একার বিষয় নয় সেটা প্রমাণ করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আগামী বছর বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালির খুব প্রিয় এই দীঘার সমুদ্রের তীরে জগন্নাথ মন্দির স্থাপন করে মোক্ষম চাল দিতে চাইলেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে কিছুটা হলেও ধর্মীয় মেরুকরণ এর রাজনীতিতে চাপে পড়বে বিজেপিও। আর বিজেপির সেই সংখ্যালঘু তোষণ এর যে অভিযোগ তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তাঁরা করেন সব সময় সেটাও কিছুটা প্রতিহত হবে এই জগন্নাথ মন্দির স্থাপনের পর। সত্যিই দেশের এই মন্দির মসজিদ রাজনীতি নিয়েই স্বাধীনতার এত বছর পার করে কেটে গেল আমাদের। তবু এই মন্দির আর মসজিদকে আঁকড়ে ধরেই টিকে আছে আমাদের দেশের মানুষ আর দেশের গণতন্ত্র।