রবিবার বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এগিয়ে থেকেও পেনাল্টির কারণে মূল্য চোকাতে হলো লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ১-১ ড্রয়ে শেষ হওয়া এই ম্যাচে জয় হাতছাড়া হওয়ায় অস্কার ব্রুজোর দলের জন্য আইএসএল অভিযান কার্যত এখানেই শেষ।
প্রথম থেকেই দারুণ ছন্দে খেলছিল ইস্টবেঙ্গল। শুরুতেই মেসি বাউলির নিখুঁত শটে লিড নেয় তারা। আক্রমণাত্মক ফুটবলে একের পর এক সুযোগও তৈরি করেছিল লাল-হলুদ শিবির, তবে ফিনিশিংয়ে খামতি থাকায় ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় গ্রিক স্ট্রাইকার দিয়ামান্তাকোসকে। ফলে দ্বিতীয়ার্ধে এক খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলতে নামতে হয় ইস্টবেঙ্গলকে।
সংখ্যায় কম হলেও রক্ষণে অনবদ্য পারফরম্যান্স উপহার দেয় তারা। বেঙ্গালুরু একাধিকবার আক্রমণে ওঠে, কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ৯০ মিনিট পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গল লিড ধরে রাখলেও অতিরিক্ত সময়ে ঘটে যায় অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বেঙ্গালুরুর একটি লম্বা ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল হাতে লাগে নিশু কুমারের। রেফারি সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান। নির্ভুল শটে গোল করেন সুনীল ছেত্রী।
এই ড্রয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট দাঁড়াল ২৩ ম্যাচে ২৮। লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে থেকে সুপার সিক্সে যাওয়ার সব সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেল তাদের। অন্যদিকে, বেঙ্গালুরু আগেই পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল, তাই তাদের জন্য ম্যাচের ফল তেমন প্রভাব ফেলেনি।
এদিন ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণাত্মক ফুটবল দারুণ প্রশংসিত হলেও সুযোগ নষ্ট করার খেসারত দিতে হয়েছে। বিষ্ণু দুটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন, ফলে প্রথমার্ধেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়। আনোয়ার আলির চোটও দলের জন্য বড় ধাক্কা হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দুর্দান্ত লড়াই চালিয়েও ভাগ্য সহায় হলো না ইস্টবেঙ্গলের। সমর্থকেরা যখন জয়ের আনন্দে মাততে প্রস্তুত, তখনই শেষ মুহূর্তের গোল সব স্বপ্ন চুরমার করে দিল। গোলের পর ছেত্রী উদযাপন না করলেও, ইস্টবেঙ্গলের হৃদয়ভাঙার কষ্ট কমল না।
Leave a comment
Leave a comment