আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানালেন তিনি। একইসঙ্গে ১০০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবিও জানালেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। আজ বেশ কিছু সচিত্র পরিচয়পত্রের একটি তালিকা তুলে ধরেন তিনি। ওই তালিকায় দেখা গিয়েছে, একই এপিক নম্বর লেখা অনেকগুলি ভোটার কার্ড রয়েছে একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটার। আবার তা ভিন রাজ্যেরও বটে। তিনদিন আগে এই অভিযোগ তুলেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশন ধরি মাছ না ছুঁই পানি নীতি নিয়ে জানিয়ে দেয়, এমন বিষয় আছে ঠিকই তবে তাদের ‘ভূতুড়ে ভোটার’ বলা যাবে না। এমন ব্যাখ্যা দিলেও কারচুপির অভিযোগ তুলে এবার আক্রমণ শানিয়ে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, সোমবার নয়াদিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে সরব হলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সাগরিকা ঘোষ, কীর্তি আজাদ এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন। এই তিন সাংসদের অভিযোগ, এটা স্পষ্ট একটা কেলেঙ্কারি। বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনের মধ্যে আঁতাত রয়েছে। যোগসাজশের জেরেই এসব হয়েছে। এবার ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে সময়ও বেঁধে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিজেদের ‘ভুলের দায়’ স্বীকার করতে হবে বলে দাবি তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা। আজ, সোমবার দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, নির্বাচন কমিশন ‘ভুলের দায়’ স্বীকার না করলে আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁরা এই বিষয়ে আরও কিছু নথি প্রকাশ করবেন। নির্বাচন কমিশন যে যুক্তি দিয়েছে তা মানতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা এবং তাই এমন দাবি তুলেছেন। ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘এখনও ভুল স্বীকার করেনি নির্বাচন কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভুল স্বীকার করুক নির্বাচন কমিশন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভুল স্বীকার না করলে নতুন তথ্য সামনে আনব।’
অন্যদিকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে নতুন তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে জানালেন তিনি। একইসঙ্গে ১০০ দিনের মধ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের দাবিও জানালেন রাজ্যসভার এই সাংসদ। আজ বেশ কিছু সচিত্র পরিচয়পত্রের একটি তালিকা তুলে ধরেন। ওই তালিকায় দেখা গিয়েছে, একই এপিক নম্বর লেখা অনেকগুলি ভোটার কার্ড রয়েছে। এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে সাগরিকা ঘোষের বক্তব্য, ‘বাংলার একজন ভোটারের ভোটার কার্ডের যে এপিক নম্বর, অন্য রাজ্যের এক ভোটারের সেই একই এপিক নম্বর! গাড়ির লাইসেন্স কি ডুপ্লিকেট হয়? হয় না। আধার কার্ডের নম্বর ডুপ্লিকেট হয়? হয় না। তাহলে এপিক নম্বর কি করে ডুপ্লিকেট হল? আমরা বলছি, এটা একটা কেলেঙ্কারি। ফৌজদারি অপরাধ। বিজেপি থেকে কোন কোন লোক নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাসাজশ করে এই অপরাধ করছে। প্রয়োজন পড়লে আমরা তাদের নাম দেব।’ এখন এই এপিক কার্ড নিয়ে একদিকে বিপাকে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। অপরদিকে চাপে পড়েছে বিজেপিও। আর তা নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যতই সরব হন না কেন, বিশেষ লাভ হচ্ছে না। বরং ডেরেক ও’ব্রায়েনের কথায়, ‘আমরা চাই, পশ্চিমবঙ্গে শুধু সেখানকার বাসিন্দারাই ভোট দিক। দেখা যাবে, ভোটারদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ, তাঁদের ভোট অন্য কেউ দিয়ে গিয়েছেন। যাঁদের ভোটার কার্ডের এপিক নম্বর তাঁদেরই মতো। নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায় স্বীকার করুন। না করলে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় আরও কিছু নথি প্রকাশ করব।’