স্বরূপনগরে সাতসকালে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে বাইকে করে ৫-৬ জন যুবকের একটি দল গ্রামে ঢোকে। বেশিরভাগই অপরিচিত। কথাও বলেও ইসারুলের সঙ্গে। তারইমধ্যে ঘটে যায় এ ঘটনা। তাই পুরনো শত্রুতার জেরে খুন নাকি, ব্যবসায়িক কারণ তা নিয়ে বেড়েছে জল্পনা।
এদিন সকালে স্বরূপনগরে ব্লকের দত্তপাড়া উচুপোলের কাছে আচমকা গুলির শব্দ শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। ছুটে গিয়ে দেখেন গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে আছেন এলাকারই এক ব্যক্তি। খবর চাউর হতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। মৃতের নাম ইসারুল গাজী। বাড়ি স্বরূপনগরের তারালিতে। কিন্তু, কেন খুন, এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক ইস্যু আছে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। চাপানউতোর গোটা এলাকাতে।
এলাকার এক বাসিন্দা বলছেন, “আমি মাঠে গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনছি গুলি চলেছে। খবর শুনেই ছুটে এসে দেখি এই কাণ্ড। কে করল, কেন করল বুঝতে পারছি না।” স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন সকালে বাইকে করে ৫-৬ জন যুবকের একটি দল গ্রামে ঢোকে। বেশিরভাগই অপরিচিত। কথাও বলেও ইসারুলের সঙ্গে। তারইমধ্যে ঘটে যায় এ ঘটনা। তাই পুরনো শত্রুতার জেরে খুন নাকি, ব্যবসায়িক কারণ তা নিয়ে বেড়েছে জল্পনা।
এলাকার আর এক বাসিন্দা বলছেন, “আমি কাজ করছিলাম। তখন দেখি আচমকা চার পাঁচজন এসেছে। ইসারুলকে গালাগালিও করছিল। মারধরও করে। দলে ওরা প্রায় ৫ থেকে ৬ জন ছিল। তারপরই আচমকা আওয়াজটা হল। গুলি করার পরেই স্বরূপনগরের দিকে পালিয়ে যায়।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে মৃতের পরিবারের সদস্যদের। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদেরও।
এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে তদন্ত চলছে এবং খুব শীঘ্রই দোষীদের গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তৎপর।
এখন দেখার বিষয়, এই খুনের পিছনে আসল কারণ কী এবং দোষীরা কবে ধরা পড়ে। স্বরূপনগরের এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় চাপানউতোর অব্যাহত।