টালিগঞ্জের বুকে এক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, যেখানে মাত্র ছয় বছর বয়সী একটি নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সমগ্র এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এক যুবককে আটক করেছে, যে ওই এলাকারই বাসিন্দা। বর্তমানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নির্যাতিতার মায়ের বিবরণে উঠে এসেছে এক ভয়াবহ চিত্র। তিনি জানান, রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তিনি প্রথম বিষয়টি বুঝতে পারেন। মেয়ের পোশাকে রক্তের দাগ এবং গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ দেখে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান। এরপর মেয়েটি জানায়, এই প্রথম নয়, এর আগেও প্রায় এক মাস আগে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়েছে। মায়ের ধারণা, শিশুটি যখন ঘুমাচ্ছিল, তখনই অভিযুক্ত বাড়িতে প্রবেশ করে এই জঘন্য অপরাধ সংঘটিত করেছে। এই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতার মা দোষীর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, যারা এলাকার দরিদ্র শিশুদের শিক্ষার জন্য কাজ করে, তারাও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং অপরাধীর কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে। নির্যাতিতা ওই সংস্থার এক শিক্ষিকার কাছে পড়ত। শিক্ষিকা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই তিনি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তিনি এই ঘটনার দ্রুত ও ন্যায়সঙ্গত বিচার এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এলাকার অন্যান্য বাসিন্দারাও এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এবং অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই ঘটনা সমাজের অন্ধকার দিকটি আরও একবার উন্মোচিত করেছে, যেখানে শিশুদের নিরাপত্তা আজ গভীর প্রশ্নের মুখে।