ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর লন্ডনে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং ইউক্রেন সংকটসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠকের পর জয়শঙ্কর জানান, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীর আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে ব্রিটেনের বিদেশসচিব ডেভিড ল্যামি সহ বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জয়শঙ্কর বলেন, “লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী স্টার্মারের সঙ্গে আলোচনা অত্যন্ত ইতিবাচক হয়েছে। আমি তাঁর কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের আলোচনায় মূলত অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে, ইউক্রেন সংকট নিয়েও আলোচনা হয়েছে, যেখানে ব্রিটেনের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা গেছে।”
এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দ্বিতীয়বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অবস্থানে পরিবর্তন এনেছেন। তিনি ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছানোর পরামর্শ দিয়েছেন। এরই মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি একটি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য হোয়াইট হাউসে যান। কিন্তু আলোচনার সময় ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর বিতর্ক তৈরি হয়, যার ফলে চুক্তিটি বাতিল হয়ে যায়। এমনকি আমেরিকা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা পাঠানোও বন্ধ করে দেয়। এই প্রেক্ষাপটে ব্রিটেন তার সমর্থন বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেয় এবং এই প্রসঙ্গ স্টার্মার-জয়শঙ্কর বৈঠকের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
এর আগের দিন জয়শঙ্কর ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রসচিব ইভেট কুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা, মানবপাচার রোধ এবং চরমপন্থার বিরুদ্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে তাঁরা আলোচনা করেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, জয়শঙ্করের সফর ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে এবং এই সময়ের মধ্যে তিনি ব্রিটেন ও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ককে আরও মজবুত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
Leave a comment
Leave a comment