বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করবে কিনা, তা সম্পূর্ণভাবে দলটির নিজস্ব সিদ্ধান্তের বিষয়। এ প্রসঙ্গে নিজের মতামত জানাতে গিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আওয়ামী লীগকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা নির্ধারণ করা আমার এখতিয়ারে পড়ে না।” একইসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশনই ঠিক করবে কোন দল ভোটের লড়াইয়ে নামতে পারবে।
গত বছরের অগস্টে শেখ হাসিনার সরকার বিদায় নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী প্রশাসনের দায়িত্ব নিতে হওয়া নিয়ে ইউনূস জানান, এ সিদ্ধান্ত তাঁর জন্য পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত ছিল। তিনি বলেন, এত বড় দায়িত্ব সামলাতে হবে, তা তিনি কখনোই কল্পনা করেননি। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও দেশের স্বার্থে তাঁকে এই দায়িত্ব গ্রহণ করতে হয়েছে।
এই দায়িত্ব তার জন্য সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। তার কথায়, “আমি কখনো ভাবিনি যে দেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব নিতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার অভিজ্ঞতা ছাড়াই এখন গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে।”
নতুন সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়ে তিনি জানান, দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে মনোযোগী হয়েছেন। দেশের সংকটাপন্ন অবস্থা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দীর্ঘ অস্থিরতার ফলে পরিস্থিতি এমন হয়েছে যেন সবকিছু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য এখন সেই ক্ষতি সামলে দেশকে স্থিতিশীল পথে ফিরিয়ে আনা।”
অন্যদিকে, ক্ষমতা পরিবর্তনের পর আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা চলছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধান এএমএম নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, সরকার বা আদালতের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা না এলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা থাকবে না।
Leave a comment
Leave a comment