তারাপীঠ মহাশ্মশানে আবর্জনা ফেলার কংক্রীটের স্থায়ী নির্মাণ করার প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামলো বীরভূম জেলা বিজেপি। বিক্ষোভ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের। বিজেপির জেলা সভাপতি মাটি ফেলে বন্ধ করে দিলেন নির্মাণের জন্য তৈরি করা গর্ত। বিজেপির দাবী তারাপীঠ মহাশ্মশানে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সমাধিস্থলের উপর এই আবর্জনা ফেলার কংক্রীটের স্থায়ী নির্মাণ করছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মৃতদের সমাধির উপর এই নির্মাণ করা হচ্ছে বলে বিজেপির অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে হেয় করতে পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের আবর্জনা ফেলার কংক্রীটের স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। আজ তারই প্রতিবাদে তারাপীঠ মন্দির এলাকায় মিছিল করে প্রতিবাদ করে বিজেপি। এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ বিজেপির বীরভূম জেলার বিভিন্ন কর্মী ও সমর্থকেরা। এদিনের প্রতিবাদ মিছিল পৌঁছায় তারাপীঠ মহাশ্মশানে । সেখানে হাতে কোদাল নিয়ে মাটি ভরাট করলেন নির্মাণের জন্য তৈরি করা গর্ত বিজেপির কর্মীরা। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মাটি ভরাট করতে হাত লাগালেন বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাও। এরপরই বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা সহ ১৫ জন বিজেপির কর্মী ও সমর্থককে আটক করে তারাপীঠ থানার পুলিশ। পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পর বিজেপির আন্দোলনের বিরোধিতা তারাপীঠ মহাশ্মশানে সাধুদের একাংশের। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে তারাপীঠ থানার পুলিশ আটক করে তারাপীঠ থানায় নিয়ে যাওয়ার পরেই আসরে নামলেন সাধুদের একাংশ। তাদের দাবী তারাপীঠে থাকা বিভিন্ন হোটেল ও বাড়ির নোংরা জল দ্বারকা নদীতে পড়ে। গ্রিন বেঞ্চের নির্দেশে জল পরিশোধন করে তবেই নদীতে জল ফেলা হোক। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহাকে মুক্তির দাবিতে তারাপীঠ থানার সামনে বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। প্রায় এক ঘন্টা পর ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তি দেওয়া হয় বিজেপির জেলা সভাপতি সহ আটক ১৫ জন বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের। এই নিয়ে তারাপীঠ এলাকায় হৈ চৈ পড়ে যায়।