অনলাইনে এক অজানা মহিলার সঙ্গে আলাপ, প্রথমে সৌজন্যমূলক কথোপকথন, তারপর ধীরে ধীরে সম্পর্কের গভীরতা বাড়ে। আস্থার বাঁধন দৃঢ় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাস্তবায়িত হয় এক সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। বিশ্বাসের ফাঁদে পড়ে তিনি নিজেও টের পান না, কখন ষড়যন্ত্রের জালে আটকে গেছেন। পাকিস্তান সংযুক্ত এক মহিলার প্রলোভনে পড়ে রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচারের ফাঁদে জড়িয়ে পড়েন এক রেল আধিকারিক। দীর্ঘদিন নজরদারির পর, অবশেষে রাজস্থানের বিকানের থেকে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
তদন্তে উঠে এসেছে, ধৃত ভবানী সিংহ কিছুদিন আগে এক মহিলার সঙ্গে সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করেন। প্রথমদিকে ছিল নেহাতই সাধারণ আলাপচারিতা, তবে সময়ের সঙ্গে সেই সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতায় রূপ নেয়। অভিযোগ, ওই মহিলা তাঁকে দ্রুত বড় অঙ্কের টাকা আয়ের প্রলোভন দেখান এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে সরবরাহ করতে উৎসাহিত করেন। প্রাথমিকভাবে রাজি না হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভবানী এই কাজে লিপ্ত হন বলে অভিযোগ। সেনাবাহিনী সংক্রান্ত একাধিক গোপন নথি তিনি পাচার করেছেন বলে তদন্তকারীদের দাবি।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বহুদিন ধরেই ভবানী সিংহের উপর কড়া নজর রাখছিল গোয়েন্দারা। অনলাইনে তাঁর গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়। বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত চালিয়ে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তিনি বিপুল অর্থের বিনিময়ে সেনার গুরুত্বপূর্ণ নথি পাচার করছিলেন। পর্যাপ্ত প্রমাণ হাতে আসার পরই বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনা বিচ্ছিন্ন নয়, বরং এর পেছনে বড়সড় আন্তর্জাতিক চক্রান্ত থাকতে পারে। ভবানী ছাড়া আরও কেউ এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা চক্রের মূল হোতাদের সন্ধানে তদন্ত চালাচ্ছে গোয়েন্দারা।
Leave a comment
Leave a comment