দশ দিন হাসপাতালে কাটানোর পর অবশেষে বাড়ি ফিরলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়। পরিবার জানিয়েছে, এখনই সম্পূর্ণ সুস্থ নন তিনি, তাই আপাতত বাড়িতেই থাকবেন এবং সেখানেই চলবে তাঁর চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ।
তবে শারীরিক অবস্থার পুরোপুরি উন্নতি হয়নি। বাঁ চোখ, হাতের কব্জি এবং পায়ের সমস্যায় এখনো ভুগছেন তিনি। চিকিৎসকদের অনুমান, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী অধ্যাপকদের সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সভা চলাকালীন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতি ঘিরে কিছু ছাত্র প্রতিবাদে মুখর হন। তাঁদের বিরোধিতার জেরে সভাস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে ধাক্কাধাক্কির মধ্যে আহত হন ইন্দ্রানুজ।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় তিনি গুরুতর আঘাত পান। ঘটনার পর তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে চিকিৎসকদের একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছিল।
ইন্দ্রানুজের হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল শনিবার, তবে চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে আরও এক দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত সোমবার বাড়ি ফেরার অনুমতি পান তিনি। অন্যদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনার জেরে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রবিবার চিকিৎসা শেষ হলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ির ধাক্কায় ইন্দ্রানুজ আহত হয়েছেন—এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনেও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা। তবে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক সংগঠন পুরো বিষয়টিকে মনগড়া দাবি বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, ইন্দ্রানুজের পরিবার ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান করেছে।
যদিও ইন্দ্রানুজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তবু তাঁর চিকিৎসা এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। চিকিৎসকদের মতে, পুরোপুরি সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে বেশ কিছু সময় লাগবে। তবে পরিবার আশাবাদী, নিয়মিত চিকিৎসা ও বিশ্রামের মাধ্যমে তিনি দ্রুত সেরে উঠবেন।
Leave a comment
Leave a comment