৪৮ ঘন্টা হয়ে গেল মুল অভিযুক্ত এখন ও অধরা বেলঘরিয়ায়। পুলিশের ব্যর্থতা,আমরাই নিজেরা জুয়া সাট্টা বন্ধ করতে এলাকায় এলাকায় ঘুরবো। পুলিশ কোন কাজ করছে না! আমরাই এলাকায় পাহারা দেব। এলাকায় রমরমিয়ে চলছে সাট্টা আর জুয়া। পুলিশকে টাইম বেঁধে দিলাম। না হলে আমরাই এলাকা ঘুরে শান্তি ফেরাবো। এহেন মন্তব্য কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের। কামারহাটি ২৯ নং ওয়ার্ডে দায়িত্ব নিজেই নিলেন মদন মিত্র। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে না! এই খুনের সংগে যেই জড়িয়ে থাকুক পুলিশকে ধরতে হবেই। ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেলো তবুও আসল অপরাধি ধরা পড়লো না কেনো! এটা পুলিশের ব্যর্থতা ছাড়া আর কি। এদিকে খোদ ২৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্মলা রাইকে মদন মিত্রের মিটিংতে দেখা গেলো না! কাউন্সিলর মিটিং না আসায় মদন মিত্র জানালেন ওর ভয় কিসের? তিনি এলেন না কেনো। এতো মানুষ এলো কিন্তু উনি এলেন না কেনো! দলের দায়িত্ব নিয়েছি তাই মানুষ এর চাহিদা মেটাবো না সেটা কি করে হয়। বেলঘরিয়ার শুট আউটে মদনের নিশানায় এবার খোদ পুলিশ। আর যে সরকারের পুলিশ মন্ত্রী স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাহলে এই পুলিশের বিরুদ্ধেই তোপ দেগে কি বলতে চাইলেন কামারহাটির বিধায়ক। নিজের সরকারের পুলিশের প্রতি কেনো এই অনাস্থা তাঁর। তাহলে কি পুলিশের প্রতি এই নিচু তলার পুলিশের প্রতি দলের বিধায়কের আস্থা কমছে ধীরে ধীরে। তাহলে কি পুলিশ প্রশাসনে রাশ আলগা হচ্ছে সরকারের। না, হলে একটা খুনের ঘটনা ঘটার পর সরাসরি সেই এলাকার আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার বিধায়ক নিজেই। বিধায়কের এহেন মন্তব্য কেনো সেটা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর আলোচনা আর সমালোচনা। কামারহাটি তে তৃণমুল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৪৮ ঘন্টা পার হলেও এখনও মূল অভিযুক্ত অধরা। আর তাতেই চটেছেন এলাকার শাসক দলের ডাকাবুকো বিধায়ক মদন মিত্র। তাঁর মতে পুলিশ এর যে কাজ করার কথা সেটা তারা না পারলে সেই কাজ তাঁরাই করে দেবেন এইবার। কালার বয় মদন মিত্রের এই বক্তব্যে কেউ কেউ আবার বলেছেন দেখা যাক এরপর কি হয়।