সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
রাজ্য পর্যটনের প্রচার ও প্রসার এবং রাজ্যের আয় বাড়াতে এবার জেলা ভিত্তিক পর্যটন প্যাকেজ চালু করছে রাজ্য সরকার।
জেলার দর্শনীয় স্থানগুলিকে বেছে নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু জেলায় এই প্যাকেজ চালু হয়েছে। যা বিপুল মানুষের সাড়াও পেয়েছে বলে দাবি রাজ্য পর্যটন দফতরের।জেলাভিত্তিক পর্যটন প্যাকেজ তৈরি করতে কোন জেলায় কী কী দর্শনীয় স্থান রয়েছে, তার বৈশিষ্ট্য সহ যাবতীয় খুঁটিনাটি বিবরণ সহ প্রত্যেক জেলাকে তা পর্যটন দফতরের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।পর্যটন দফতর সূত্রে খবর, জেলা প্রতি পাঁচটি করে এমন ট্যুর প্যাকেজ তৈরি করতে বলা হয়েছে। ট্যুর প্যাকেজগুলি ভালো করে প্রস্তুত করে সেগুলি সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট ও বিভিন্ন পর্যটন মেলায় প্রচার করবে সরকার। বিশেষত, দুই রাত তিনদিন, এক রাত দুদিন এরকম ছোট ছোট ট্যুর প্যাকেজের উপর বিশেষ জোর দিতে বলা হয়েছে। পর্যটক স্থানের বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে হবে প্যাকেজ। জেলার ধর্মীয় স্থান,জঙ্গল, নয়া চলাচলের ব্যবস্থা, ট্রেকিং, সাফারি এই ধরনের কী কী আকর্ষণ রয়েছে সেগুলো জায়গা পাবে প্যাকেজে। জেলার মধ্যে আন্তঃসংযোগকারী সমস্ত পর্যটন স্থানের বিস্তারিত রুট ম্যাপ সংযুক্ত করা হবে প্যাকেজে। এবার বীরভূমের জন্যও এরকম প্যাকেজ চালু করা হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে। পর্যটন মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই হুগলি,সুন্দরবন সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় প্যাকেজ ট্যুরের ব্যবস্থা আছে। ঠিক তেমনই মুখ্যমন্ত্রী বীরভূমেও এরকম সফরের সূচনা করবেন। কবিগুরুর শান্তিনিকেতন থেকে শুরু করে তারাপীঠ, সতীপীঠ কংকালীতলা, বক্রেশ্বর, ফুল্লরা মন্দির, মামাভাগ্নে পাহাড়, ইলামবাজার জঙ্গল, সিধো-কানহু র ইতিহাস সমৃদ্ধ বীরভূম রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে অবশ্যই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে সোনার খনি। কাজেই বীরভূমের জন্য সরকারি পর্যটন প্যাকেজ তৈরি হলে তা যে সাড়া ফেলে দেবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না বলেই মনে করছে পর্যটন দফতর।
রাজ্যে পর্যটন বিকাশে এর আগে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকারের পর্যটন বিভাগ। কয়েক মাস আগেই থিম পর্যটনের উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। হেরিটেজ ও সাংস্কৃতিক, অ্যাডভেঞ্চার, ইকো, বিচ, রুরাল, ওয়েলনেস এবং মিটিং ইনসেনটিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সজিবিশন ট্যুরিজম এরকম ধরনের সাতটি থিম বেছে নেওয়া হয়েছিল। থিম পর্যটন গড়ে তোলার কারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের কর্মসংস্থান এবং অফবিট ডেস্টিনেশনের সংখ্যা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল।