সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার জন্য দরকার আর পাঁচ শতাংশ হিন্দু ভোট। তাহলেই রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসার রাস্তা পরিষ্কার। মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, যে জায়গায় পৌঁছেছে এই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি তাতে এই সরকার কে বিতাড়িত করতে না পারলে ২০২৬ এর পর রাজ্যে হিন্দুরা সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে। অবিলম্বে এই “তালিবানি” সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু।
শুভেন্দুর বক্তব্য, “রাজ্যের ইতিহাসে এইবার প্রথম দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন মদের দোকান খোলা রাখা হয়েছিল। ইংরেজ আমলেও কখনও কোনদিন যা হয়নি এমনকি নাস্তিক জ্যোতি বসু থেকে শুরু করে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য পর্যন্ত দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিনে মদের দোকান খোলা রাখেননি, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব ইতিহাসকে ভেঙে দিয়ে এই প্রথমবার রাজ্যে অষ্টমীর দিন মদের দোকান খুলে রেখেছিলেন।”
রাজ্যের কৃষ্টি সংস্কৃতি থেকে শুরু করে সবকিছুর মধ্যেই এক এমন পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে সকলে আজ বিপাকে পড়েছেন। বিজেপি প্রত্যেক পদে পদে যে বলে চলেছে হিন্দু ভোটের কথা তা কেবলমাত্র হিন্দু-মুসলমান ভাগের জন্য নয়, আজ এই রাজ্যে হিন্দুদের অত্যন্ত সংকটের মধ্যে পড়তে হচ্ছে প্রতি পদে পদেই। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে যে ফলাফল হবে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনো কল্পনাও করতে পারছে না বর্তমান সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শুভেন্দু আধিকারি। এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যের যে পরিস্থিতি হয়ে আছে তাতে করে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ থেকে প্রান্তিক স্তরের মানুষ এমনকি শহর কলকাতা থেকে মফঃস্বলের মানুষ সকলেই অপেক্ষায় আছেন কতক্ষণে তাঁরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে এই সরকারকে বিতাড়িত করবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাই হিন্দুদেরকে একত্রিত করে ব্যালট বক্সে সব ভোট করাতে হবে নাহলে এই রাজ্যের পরিস্থিতি দ্বিতীয় কাশ্মীরের মতো তৈরী হবে বলে জানিয়ে
সকলেই “কোমর বেঁধে” নামার আবেদন জানিয়েছেন শুভেন্দু।
