বিধানসভায় মঙ্গলবার ও বুধবার, ধর্মের নামে সঙ্কীর্ণ রাজনীতির পাল্টা অভিযোগে তোলপাড় হয়। একদিকে বিজেপি বিধায়কদের আক্রমণ, অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা জবাব, রাজনীতির এই নাটকীয়তা যেন শেষ হওয়ার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও বিধানসভায় তার বক্তব্যের মাধ্যমে বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করলেন।
বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ এনে মমতা বলেন, যাঁরা বিধানসভায় চেয়ার ভাঙেন, তাঁরা আগে নিজেদের দিকেও নজর দিন।মুখ্যমন্ত্রী শঙ্কর ঘোষের মুখে বিধানসভায় ভাঙচুরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, প্রমাণ করতে পারলে আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেব। একদিকে বিক্ষোভ, অন্যদিকে মমতার ক্ষোভের ঝড়, এই দৃশ্যটা রাজনীতির অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
বিজেপি বিধায়কদের তীব্র প্রতিবাদ এবং তাদের কালো জামা পরা আন্দোলন যেন এক নতুন আলোচনার জন্ম দেয়। মমতা তার পছন্দের কালো রঙের প্রসঙ্গ টেনে বললেন, কালো জামা পড়ে কিছু হবে না, অন্ধকারে থাকুন!মমতার এই চটকদার বক্তব্যে বিরোধীরা আরো উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তবে, মমতার সেই মন্তব্যের পর রাজ্য রাজনীতি যেন নতুন মোড় নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা, যিনি একসময় বিধানসভার চেয়ারে ভাঙচুরের অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন, আজ সেই অভিযোগ পাল্টা স্বীকার না করেই তার সমালোচকদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি প্রমাণ করতে না পারবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়ব না, বলেন মমতা।
বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মের নাম নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে মমতা একে একে বিরোধী নেতা শঙ্কর ঘোষের ওপর আক্রমণ শানান। তিনি আবারো বলেন, আপনাদের কাছ থেকে কি আমাকে সার্টিফিকেট নিতে হবে যে আমি কতটা হিন্দু?
এদিকে মদন মিত্র ও ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্যের পর মমতা বলেন, তাদের সাবধান করা হয়েছে, কিন্তু আপনারা উল্টো কাজ করছেন। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টতই নিজের অবস্থান সাফ করে দিয়েছেন, এবং বারবার তিনি নিজের নীতি ও কর্মের প্রতি বিশ্বাসী থাকার কথা তুলে ধরেছেন।
বিধানসভার এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি রাজনীতির অঙ্গনে এক নতুন সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এখন দেখার, এই উত্তেজনা কীভাবে মীমাংসা হয়, এবং রাজ্য রাজনীতিতে এর কী প্রভাব পড়তে পারে!