সৌদি আরবে ভালয় ভালয় শেষ হয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর আলোচনা। জেদ্দায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়ে খেলা ঘুরিয়ে দিয়েছে ইউক্রেন। জেলেনস্কির এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। আমেরিকার তরফে জানানো হয় এ বার রাশিয়াকেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে বলবে ওয়াশিংটন।সেই মতই কাজ শুরু করল ট্রাম্প প্রশাসন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার বলেছেন ইউক্রেনের সঙ্গে সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য আলোচকরা ‘এই মুহূর্তে’ রাশিয়ায় যাচ্ছেন। ট্রাম্প ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের বলেন, “লোকেরা ( মার্কিন প্রতিনিধিরা) এই মুহূর্তে রাশিয়ায় যাচ্ছে। এবং আশা করি আমরা রাশিয়ার কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার অবস্থান পেতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “এবং যদি আমরা তা পাই, আমি মনে করি এই ভয়াবহ রক্তপাত বন্ধ করার পথে ৮০ শতাংশ এগিয়ে যাব।”
ট্রাম্প আরও বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও হোয়াইট হাউস পরে জানিয়েছে যে তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই সপ্তাহের শেষের দিকে মস্কো যাচ্ছেন।ইউক্রেন মঙ্গলবারই ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন যে তিনি এখনও রাশিয়াকে বিশ্বাস করেন না। অন্যদিকে ক্রেমলিন বুধবার জানায় যে তারা এখনও ওয়াশিংটনের কাছ থেকে প্রস্তাবের বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সহমত ও সখ্যতা ইতিমধ্যেও গোটা বিশ্বের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।তবে ট্রাম্প নিজে কবে পুতিনকে ফোন করে এই বিষয়ে কথা বলবেন তা জানাননি। তিনি জানিয়েছেন, “এখন সিদ্ধান্ত রাশিয়ার হাতে। আমি কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি, কিন্তু ইতিবাচক বার্তার মানে কিছুই নয়। এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর পরিস্থিতি, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করতে পারে।”
পাশাপাশি ট্রাম্প একথাও বলেছেন যে রাশিয়া যদি যুদ্ধবিরতিতে স্বাক্ষর না করে তবে তিনি মস্কোর উপর ‘ধ্বংসাত্মক’ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন।তিনি বলেন, “আমি আর্থিকভাবে এমন কিছু করতে পারি যা রাশিয়ার জন্য খুব খারাপ হবে। আমি তা করতে চাই না কারণ আমি শান্তি চাই।” তবে ট্রাম্প তিনি যোগ করেছেন, “আমি আশা করি যে এটি প্রয়োজন হবে না।”
তবে ইউক্রেন যে কোনও ভাবে যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হলেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তা নিয়ে কী ভাবছেন সেটাই বড় প্রশ্ন।কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে যখন এই সাজ সাজ রব তখন কী করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট? জানা যাচ্ছে তিনি আছেন যুদ্ধেই। রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অগ্রগতি দেখিয়েছে রুশ বাহিনী। ইতিমধ্যে তারা ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা পাঁচটি গ্রাম দখল করেছে। ক্রেমলিন জানিয়েছে, কুরস্কের একটি কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। রুশ বাহিনীকে বাহবাও জানিয়েছেন তিনি।
Leave a comment
Leave a comment