বুদ্ধদেব পাত্র
বুথ সভাপতি থেকে পৌঁছালেন জেলা সভাপতির আসনে
১৯৯৮ এর বুথ সভাপতি ২০২৫এ জেলা সভাপতির আসনে। ৯৮এ গেরুয়া রাজনীতি দিয়ে পথচলা শুরু পুরুলিয়ার জঙ্গলমহলের ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের নয়াডি গ্রাম পঞ্চায়েতের একেবারে ঝাড়খণ্ড সীমানার পাপড়া হুড়ুম গ্রামের বাসিন্দা শঙ্কর মাহাতোর।
সুবর্নরেখা নদীর পাড়ে একেবারে প্রান্তিক গ্রাম পাপড়া হুড়ুম। নদী পার হয়ে দেড় কিলোমিটার দূরেই ঝাড়খণ্ড রাজ্য। সীমানার এই গ্রাম থেকে গেরুয়া রাজনীতি করা বেশ টাপ ছিল শংকর মাহাতোর। ক্ষমতায় থাকা বিভিন্ন দলের কাছ থেকে নানা ভাবে পেয়েছেন হুমকি এবং ফতোয়া। তবু তিনি তার লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি বলে জাজবাত” 24″ বাংলাকে ফোনে জানালেন শংকর মাহাতো। তিনি গেরুয়া থেকে কোনদিনও রং বদলাননি। জানালেন আমার নিজের বিধানসভা বাগমুন্ডি। সাংগঠনিক দায়িত্বে জেলার ৭টি বিধানসভা। আমার লক্ষ্য হলো ২৬শের নির্বাচনে এই ৭টি বিধানসভা জিতিয়ে আনা। ২১এর বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলার ৯টি বিধানসভার মধ্যে ৬টিতে জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। এই ছটি বিধানসভার মধ্যে বিজেপির সাংগঠনিক জেলার মধ্যে পড়ছে ৪টি বিধানসভা। একুশের বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভ করেছিল জয়পুর বলরামপুর পাড়া কাশিপুর রঘুনাথপুর,এবং পুরুলিয়া। রঘুনাথপুর বিধানসভা বাঁকুড়া লোকসভার অন্তর্গত এবং বান্দোয়ান বিধানসভা ঝাড়গ্রাম লোকসভার অন্তর্গত হলেও জেলার প্রতিটি আসনেই বিজেপি যাতে জয়লাভ করতে পারে সেই লক্ষেই তিনি কাজ করে যাবেন বলে জানালেন।
বরাবরই কংগ্রেস ফরওয়ার্ড ব্লকের এলাকা বলে পরিচিত ছিল অযোধ্যা পাহাড় কোলের নয়াডি গ্রাম পঞ্চয়েত এলাকা। কিন্তু শংকর মাহাতো তার রাজনৈতিক লক্ষ্য থেকে সরে আসেননি। থেকেছেন পদ্ম শিবিরেই। বিজেপি তৃণমূল এবং বামফ্রন্টের শরিক নেতা কর্মীরাও বলছেন বরাবরই তিনি পদ্ম শিবিরের থেকেছেন। যার জন্যই আজ সামান্য বুথ সভাপতি থেকে জেলা সভাপতি পদের সন্মান পেলেন শঙ্কর মাহাতো।
১৯৯৮ সালে বিজেপি বুথ সভাপতি হয়ে রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন পাপড়া হুড়ুম গ্রামের সংকর মাহাতো।৯৮এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে পদ্ম ছাপে প্রথম ভোটে দাঁড়ান। ২০০৪ সালে নয়াডির অঞ্চল সভাপতি হন। ২০০৭ সালে ঝালদা ১ নম্বর মন্ডলের যুব মোর্চার ব্লক সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০১০ সালে ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের সাধারণ সম্পাদক।২০১৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ থেকে ভোটে দাঁড়ান।২০১৩ সালেই আবার ঝালদা ১ নম্বর মন্ডল সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে বাগমুন্ডি বিধানসভা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর নির্বাচনী এজেন্ট হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসের সাথে লড়াই করেন। ২০২০ সাল থেকে ছেলেন পুরুলিয়া জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক পদে
২০২৫ এর ১৪ ই মার্চ বসন্ত উৎসবের সন্ধ্যায় বসলেন জেলা সভাপতির চেয়ারে।
তালিকা প্রকাশ হতেই শংকর মাহাতো জানান। দল তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন সেই দায়িত্ব নিয়ে তিনি দলের নেতা কর্মীদের নিয়ে যত্ন সহকারে কাজ করে যাবেন।