সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
অবশেষে সুনিতা উইলিয়ামস দের মহাকাশ থেকে পৃথিবীর বুকে ফিরিয়ে আনতে পৃথিবীর গাড়ি পাড়ি দিল মহাকাশে। ৮ দিনের সফরে গিয়ে গত প্রায় নয় মাস আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তার সহযোগী নভশ্চর বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে রওনা দিল ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান ক্রু-১০ ড্রাগন স্পেসক্রাফট। ভারতীয় সময় ভোর চারটে ৩৩ মিনিট নাগাদ আমেরিকার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে ফ্যালকন নাইন রকেটে চেপে মহাকাশ স্টেশনের দিকে রওনা দিয়েছে ড্রাগন স্পেসক্রাফট। এই মহাকাশযানে রয়েছেন আরও চার মহাকাশচারী। এন ম্ল্যকেন, নিকল আয়ারস, জাপানের তাকুয়া ওশিনি ও রাশিয়ার কিরিল পেস্কোভ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই চারজনকে মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে আগামী ১৯ মার্চ সুনিতাদের পৃথিবীর মাটিতে ফিরিয়ে আনবে ড্রাগন। স্বাভাবিকভাবেই দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান। এখন সুনিতাদের মাটির বুকে ফিরে আসার অপেক্ষায় গোটা দুনিয়া। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে নাসা।
উল্লেখযোগ্য, সুনীতা উইলিয়ামস দের মহাকাশে আটকে পড়া নিয়ে গত কয়েকমাস ধরে বিশ্বজুড়ে যথেষ্ট সমালোচনার ঝড় বয়েছে। এমনকি এর পেছনে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন অনেকেই। যদিও নাসার বিজ্ঞানী গৌতম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কোন ষড়যন্ত্রের অবকাশ নেই। যে স্টারলাইনার সুনিতা উইলিয়ামস দের মহাকাশে নিয়ে গিয়েছিল সেটি নিরাপদে পৌঁছলেও সেটির কিছু যান্ত্রিক ত্রুটি ধর পড়ে। তাই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে শুধু স্টারলাইনারকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হয়। সেকরণেই সুনীতদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।” তবে সুনীতাদের ফেরার পথে চাতক পাখির মত তাকিয়ে রয়েছে নাসাও। সুনীতা ও বুচের সঙ্গে কথা বলে তাদের মুখে এই নয় মাসের জার্নির প্রতিটি অনুভুতির কথা জানতে মুখিয়ে রয়েছে নাসা। কারণ এ এমন এক বিরল অভিজ্ঞতা যা একমাত্র সুনীতারাই বলতে পারবেন। গৌতমবাবুর মতে, ভবিষ্যতে মানুষকে মঙ্গলগ্রহে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করছে নাসা। এই অবস্থায় মহাকাশে এই দীর্ঘদিন কাটানোর অভিজ্ঞতা কেমন? মানসিক ক্ষেত্রে কতটা চ্যালেঞ্জের? পৃথিবীর তুলনায় মহাকাশে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন কিরকম হতে পারে এই যাবতীয় প্রশ্নের পিপাসু মন নিয়ে এখন ধনী তাদের ঘরে ফেরার অপেক্ষায় ওটা দুনিয়ার সঙ্গে নাসার বিজ্ঞানীরাও।