১৪ বছরে ১৪ টাকাও খরচ করেননি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। এমনটাই অভিযোগ ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকী। আর সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতেই তড়িঘড়ি করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা সফর। ফুরফুরা শরিফে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী সোমবার। ১৭ই মার্চ ফুরফুরায় যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। প্রায় কুড়ি মিনিট বৈঠক করেন ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদার সঙ্গে। আর তার পর আবার তিনি ফুরফুরা শরিফ যাচ্ছেন ফের। সেখানে মুসাফীর খানায় এক ইফতারে মিলিত হবেন বলে জানা গেছে মুখ্যমন্ত্রী। আর তাই জোরকদমে কাজ চলছে ফুরফুরা এলাকায়।
জানা গিয়েছে,তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে তিনবার ফুরফুরায় যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিকে, মুখ্যমন্ত্রী যাবেন বলে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা ফুরফুরা শরিফকে। পুরো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের কর্তারাও উপস্থিত হয়েছেন ফুরফুরা শরিফে। সূত্রের খবর, সরকারি উদ্দ্যোগে আয়োজন করা হচ্ছে ইফতার। সেইখানেই যোগ দিতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেখা করতে পারেন ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গেও একান্তে বৈঠক হবে দুজনের মধ্যে বলেও জানা যাচ্ছে।
বস্তুত, ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রথম ফুরফুরা শরিফে মুখ্যমন্ত্রী আসেন তারপর ২০১২ সালে। এরপর ২০১৬ সালে তিনি সেখানে যান। তারপর ২০২৬-এর ভোটের আগে ২০২৫-এর ১৭ ই মার্চ ফুরফুরায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী ফুরফুরার পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির সঙ্গে একান্তে সাক্ষাৎ করবেন বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু কেনো এই ফুরফুরা সফর। ফুরফুরে বসন্তের মৃদুমন্দ বাতাস বইছে চারিদিকে তার মাঝেই ফুরফুরা সফর মুখ্যমন্ত্রীর। ২০১৬ সালের পর কেনো আবার দশবছর পর এই সাক্ষাৎকার। আসলে সামনেই বিধানসভার নির্বাচন তার আগে ফুরফুরা শরিফের ক্ষোভকে প্রশমিত করতে না পারলে ভোটের বাক্সে তার প্রভাব পড়লে তৃণমূলের পক্ষে ভালো হবে না।
সংখ্যালঘু ভোট ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে যে করেই হোক সচল রাখতে হবে। আর তাই এই এলাকায় ছুটে আসা দশ বছর পর। এই ফুরফুরা শরিফের ক্ষোভকে না আটকাতে পারলে সমস্যায় পড়বে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই যে করেই হোক ভোটের আগে তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এলাকায় উন্নয়ন করে এই এলাকার মানুষের মন জয় করতে হবে। মন জয় করতে হবে পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকীর। আর তাহলেই রাজনীতিতে ভোটের অংকে এগিয়ে থাকবে শাসক দল তৃণমূল। আর তাই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর এই ফুরফুরা শরিফ সফর। ভোট বড়ো বালাই। ভোটের রাজনীতি বড়ো কঠিন ব্যাপার। সেই রাজনীতির অঙ্ক মেলাতেই মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর তড়িঘড়ি করে ছুটে যাওয়া। এরপর চিঁড়ে ভেজে কি না সেটাই দেখার বিষয়।