আগেই ভোটার তালিকায় ‘ভূত’ নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভুয়ো ভোটার কাণ্ডে কেন্দ্রকে বেনজির তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর মেগা বৈঠক এর পরে একদম দলের সেকেন্ড ম্যান এর জরুরী বৈঠক। সেই সভায় পাখির চোখ ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন, তার আগেই আজ ভুয়ো ভোটার নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন বিধায়ক, সাংসদ জেলা সভাধিপতি সহ তৃণমূলের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার প্রতিনিধি।
‘গুজরাটের ভোটারের নাম বাংলায় এটা বিজেপির চক্রান্ত’, দাবি অভিষেকের। এদিন বিকেল সাড়ে চারটের সময় শুরু হয় বৈঠক। গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়া ভুয়ো ভোটার চিহ্নিত করা ও তাদের বাদ দেওয়ার জন্য বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ। আগামী ৫ দিনের মধ্যে জেলাস্তরে কমিটির গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভুয়ো ভোটার খুঁজতে আসরে অভিষেক। সাংগাঠনিক বৈঠকে ৫ দিনের মধ্যে জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশ। রাজ্যের বাইরে যারা থাকেন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। কমিটি তৈরির ক্ষেত্রে সাংসদ-বিধায়কদের সর্বসম্মত ভাবে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেন। এই ভাবেই কিছুটা হলেও দলে নিজের আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছেন তিনি।
এদিনের বৈঠকে থেকে অভিষেক স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন ‘এই মুহূর্তে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ স্বচ্ছ ভোটার তালিকা তৈরি করা’। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে কিছু এজেন্সি ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটার ঢোকানোর কাজ করছেন বলেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক। ২১ থেকে ২৭ মার্চের মধ্যে ব্লক কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। দলের তরফে ইলেক্টোরাল রোল সুপারভাইজার নিয়োগ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জেলা স্তর, ব্লক স্তর, পঞ্চায়েত স্তর, বুথ স্তর পর্যন্ত কমিটি তৈরি হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা পরীক্ষার কাজ চলবে। গোটা প্রক্রিয়ার দায়িত্ব সামলাবে আইপ্যাক।
পাশাপাশি আইপ্যাকের নাম করে টাকা তোলার যে অভিযোগ তা নিয়ে এবার কড়া নির্দেশ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের। পদ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আমার নাম করে বা আইপ্যাকের নাম করে কোন টাকা তোলা যাবেনা, সাফ বার্তা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এমন কোন বিষয় সামনে এলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর ভোটের আগেই তাই এই নানা রকম উপায়ে দলের কর্মীদের আরও কাছে টানতে চাইছেন তিনি। ক্ষমতার ভরকেন্দ্র কালীঘাট না ক্যামাক স্ট্রীট সেটাই এখন বুঝে শুনে চলতে হবে ঘাসফুলের দলের কর্মীদের।