ইরাকের আল আনবার প্রদেশে আকাশ থেকে একটি নির্দিষ্ট হামলায় মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের অন্যতম প্রধান ‘আবু খাদিজা’র। ইসলামিক স্টেট (আইএসআইএস) সন্ত্রাসী গ্রুপের গ্লোবাল অপারেশনের প্রধান এবং বিশ্বব্যাপী এই গ্রুপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা আবদুল্লাহ মাক্কি মুসলিহ আল-রিফাই ‘আবু খাদিজা’ নামেই পরিচিত ছিলেন। ১৩ মার্চ চালানো এই অভিযানে আরও এক আইএসআইএস সদস্যও নিহত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এই কাজের জন্য তাঁর নির্ভীক যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
দীর্ঘদিন ধরে টার্গেটে থাকলেও এই আইসিস এই নেতা সকলের চোখে ধুলো দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে আমেরিকা, ইরাকি এবং কুর্দ বাহিনী গোয়েন্দা সূত্র মারফত পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বিমান থেকে ড্রোন হামলা চালায়। বিমান হামলার পর, মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড এবং ইরাকি বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আবু খাদিজা এবং অন্য আইএসআইএস যোদ্ধার মৃত্যু নিশ্চিত করে।দুজনের কাছে দেহে বাঁধা বিস্ফোরক বোঝাই আত্মঘাতী বেল্ট মিলেছে।আগের একটি অভিযানে সংগৃহীত নমুনা থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ ম্যাচের মাধ্যমে একটি দেহ যে আবু খাদিজার তা নিশ্চিত হওয়া গেছে।মার্কিন সামরিক কর্তাদের তথ্য মতে, আবু খাদিজা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী গ্রুপের লজিস্টিকস, পরিকল্পনা এবং আর্থিক ব্যবস্থার তদারকি করতেন।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি এই অপারেশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আবু খাদিজাকে “ইরাক ও বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসীদের একজন” বলে বর্ণনা করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে এই অপারেশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথ ভাবেই হয়েছে বলে আল-সুদানি নিশ্চিত করেন। মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের কমান্ডার জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা বলেছেন, ” আবু খাদিজাহ ছিলেন গ্লোবাল আইএসআইএস সংগঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের একজন। আমরা এভাবেই সন্ত্রাসীদের হত্যা করতে এবং তাদের সংগঠনগুলোকে ধ্বংস করতে থাকব।”
এক সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে ত্রাস সৃষ্টি করেছিল ইসলামিক স্টেট। ইরাকি বাহিনী এবং মার্কিন সমর্থিত আন্তর্জাতিক জোটের নেতৃত্বে বছরের পর বছর সামরিক অভিযানের পর, ২০১৭ সালে ইরাকে এবং ২০১৯ সালে সিরিয়ায় আইএসআইএস মূলত ধ্বংস হয়ে যায়। তবে গোয়েন্দা তথ্য জানাচ্ছে দুই দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এই গ্রুপের যোদ্ধারা এখনও সক্রিয় রয়েছে। এখনও প্রায় ২,৫০০ মার্কিন সেনা ইরাকে সন্ত্রাসবিরোধী অনুশীলন চালাতে এবং ইরাকি বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য মোতায়েন রয়েছে।
Leave a comment
Leave a comment