সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
প্রকৃতির বুকে এখন ফাগুনের মরশুম। রাঙা পলাশে মুড়েছে অযোধ্যা পাহাড় সহ পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। প্রতি বছরের মত এবছরেও পলাশের টানে দলে দলে পলাশের দেশ পুরুলিয়ায় ভিড় জমিয়েছেন ভ্রমণ পিপাসুরা।
এবছর এখনও পর্যন্ত ১৮ কোটি পর্যটক এ রাজ্যে এসেছেন। যার মধ্যে সিংহভাগ পর্যটকই পুরুলিয়া ভ্রমণ করেছেন এবং এখনও করছেন। আজ বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। বিজেপি বিধায়ক নরহরি মাহাতোর এক প্রশ্নের উত্তরে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান, অযোধ্যা পাহাড় ও সংলগ্ন এলাকা ছাড়াও পুরুলিয়ায় এখন নতুন বেশকিছু পর্যটন স্থল তৈরি হয়েছে। যেগুলো অফ বিট ডেস্টিনেশন বলে পরিচিত। অযোধ্যা পাহাড়, হিলটপ, গড়পঞ্চকোট, বাঘমুন্ডি, মাঠা পাহাড়, পাখি পাহাড়, চড়িদা গ্রাম ছাড়াও রাজ্য পর্যটন দফতরের উদ্যোগে পুরুলিয়ায় আরো অনেক নতুন ট্যুরিস্ট স্পট তৈরি করা হয়েছে। হোম স্টে ও সংশ্লিষ্ট পরিকাঠামো উন্নত হয়েছে। ফলে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়ছে দিনকে দিন। রাজ্য সরকারের প্রকল্পের বাইরে যদি নতুন কোনো প্রস্তাব আসে তাহলে অবশ্যই তা বিবেচনা করে দেখা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি মন্ত্রীর কাছে জানতে চান বিহারীনাথ কে কেন্দ্র করে কোনো পর্যটনকেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা আছে কিনা। উত্তরে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানান প্রস্তাব পেলে বিবেচনা করা হবে।
পর্যটন মন্ত্রী আরও জানান, রাজ্যের হোম স্টে গুলোর বিস্তারিত তথ্য আগামি অর্থ বর্ষ থেকে পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। গোটা রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলোর সংশ্লিষ্ট
হোম স্টে-র তথ্য পাওয়া যাবে পর্যটন দফতরের ওয়েবসাইটেই।
রাজ্যের পর্যটন প্রসারে হোমস্টে গুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানাতে ডিজিটাল ব্যবস্থার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। নতুন আর্থিক বছর থেকেই পর্যটকরা এই সুবিধা পাবেন। মন্ত্রী আরো জানান বিভিন্ন পর্যটন ক্ষেত্র নিয়ে সরকার প্যাকেজ টুরের ব্যবস্থা করছে। পর্যটন মন্ত্রী বলেন এই মুহূর্তে রাজ্যে ৫ হাজার ৩২২ টি হোম স্টে আছে। পর্যটন পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা আছে ২১৪। এদের দক্ষতা ও মান উন্নয়নে সরকার প্রশিক্ষণ চালু করেছে।