উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পৌরসভা থেকে অবশেষে পদত্যাগ করলেন চেয়ারম্যান মলয় রায়। সোমবার, বোর্ড অব কাউন্সিলর্সের বৈঠকে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। পদত্যাগের আগে গোপন ব্যালটে আস্থা ভোটের কথা বলেছিলেন মলয় রায়, কিন্তু শেষমেষ তিনি নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।
মলয় রায় জানিয়েছেন, “পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে, আমি পেশ করেছি। এখানে কোনও কনটেস্ট নেই। মাঠে সব রেডি হয়ে আছে। কারা মাঠ বিক্রি করার চেষ্টা করছে, সেটা আমরা সময়মতো চিহ্নিত করে দেব।” তিনি আরও বলেন, “এখানে ভোটের কোনও চিহ্ন নেই। দল সিলেক্ট করে দেবে। সেই সিলেকশনের ওপর চেয়ারম্যান আসবেন এবং শপথ নেবেন। চেয়ারের মূল্যায়ন ওইভাবে হয় না, তা মূল্যায়ন হয় পদমর্যাদার ওপরে।”
তবে মলয়ের পদত্যাগের সঙ্গে কিছু বিতর্কও জড়িত রয়েছে। সম্প্রতি সোদপুর অমরাবতী মাঠের বড় অংশ বিক্রি করার পরিকল্পনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। এই ঘটনায় মলয় রায়ের নাম জড়ায়, যা তাকে সমালোচনার মুখে ফেলে। ১১ মার্চ মুখ্যমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে মলয় রায় প্রথমে প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন তাকে পদত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। তবে পরে তিনি ১২ মার্চ মহকুমা শাসকের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান, যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি পদত্যাগ করছেন।
পদত্যাগপত্রে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কথা বলেননি, তবে শেষ পর্যন্ত বোর্ড অব কাউন্সিলর্সের বৈঠকে তার পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। এই পদত্যাগ নিয়ে এলাকায় নানা ধরনের মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং দাবি করেছেন, মলয় রায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে, এবং তৃণমূল জামাইকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।