ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে এবার সশরীরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। গত সপ্তাহে তাকে শোকজ করেছিল মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে। বিধায়কের কিছু সাম্প্রতিক মন্তব্যের জেরেই এই শোকজ চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তবে চিঠির জবাব দিলেও নিজের অবস্থানে অটল রয়েছেন হুমায়ুন।
গত দিনগুলোতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন হুমায়ুন। তিনি ‘ঠুসো মারব’ বলেও মন্তব্য করেন, যা নিয়ে দলীয় শৃঙ্খলার প্রশ্ন ওঠে। শুধু তা-ই নয়, মুর্শিদাবাদে শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এর পরেই দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে শোকজ করা হয়।
চিঠির মাধ্যমে হুমায়ুনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়, যেখানে তিনি দাবি করেন যে, তিনি এসব কথা দলীয় বিধায়ক হিসেবে নয়, একজন ব্যক্তিগত মানুষ হিসেবে বলেছেন। সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “আমি একজন মুসলিম মায়ের পেটে জন্মেছি, তখন তো তৃণমূল ছিল না।”
তবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, একজন বিধায়ক হিসেবে দলের ভাবমূর্তি ও নীতি-নিয়ম মেনে চলা জরুরি। মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “দলের একটি স্বতন্ত্র মতাদর্শ আছে। দলের সদস্য হিসেবে হুমায়ুনকে তার বিধায়ক পরিচয়ে কথা বলতে হবে, ব্যক্তিগত পরিচয়ে নয়।”
এখন দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় হুমায়ুনকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তার বক্তব্য ব্যাখ্যা করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডাকা হয়েছে, আর এ নিয়ে দলীয় মহলে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।