বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি হুগলি জেলার ফুরফুরা শরিফে অনুষ্ঠিত এক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন। তিনি সেখান থেকে সবার উদ্দেশ্যে শান্তি, ঐক্য এবং সম্প্রীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। মমতার এই উপস্থিতি নিয়ে বিরোধী পক্ষের পক্ষ থেকে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে ২০২৬ সালের নির্বাচনের আগে।
মমতা এই ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের পক্ষে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে জানান। তিনি বলেন, “যখন আমি দুর্গাপুজো কিংবা কালীপুজো করি, তখন কেউ কিছু বলে না, তবে ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য কেন প্রশ্ন তোলা হবে?” মমতার মতে, ধর্মের ওপর কোনো সীমাবদ্ধতা রাখা উচিত নয়, বরং সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে শান্তি এবং সহযোগিতা বাড়ানো উচিত।
এছাড়া, তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডেরও বিবরণ দেন। তিনি ফুরফুরা শরিফে এক পলিটেকনিক কলেজ এবং একটি হাসপাতাল নির্মাণের ঘোষণা দেন, যা স্থানীয়দের জন্য একটি বড় সুবিধা হবে। মমতা এই পদক্ষেপগুলিকে রাজ্যের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
এদিকে, রাজ্যের শাসক দলের দাবি, মমতার এই উদ্যোগ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তির মন্ত্র প্রচারের একটি উদাহরণ। বিরোধী পক্ষ, তবে, তাঁর এই উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেছেন। তারা মনে করেন, মমতার এ ধরনের উপস্থিতি শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে ভোটব্যাঙ্ক সুনিশ্চিত করতে একটি কৌশল।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বার্তা এবং তাঁর উপস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে, এবং এটি একে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহানুভূতির মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করতে উৎসাহিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।