রাজ্যে ওবিসি তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। কোন শ্রেণিগুলি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্য, তা নিয়ে পুনর্মূল্যায়ন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ওবিসি তালিকা সংক্রান্ত তথ্য পুনরায় মূল্যায়নের প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতে বলেন, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এই নতুন সমীক্ষার কাজ শুরু করা হয়েছে।
এই পরিপ্রেক্ষিতে, রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়, যাতে মামলার শুনানি তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত রাজ্যের এই অনুরোধ গ্রহণ করে এবং জানিয়ে দেয় যে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে আগামী জুলাইয়ে। বিচারপতি বি আর গবই মন্তব্য করেন, “মামলাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে আপাতত কিছুটা স্বস্তি মিলল।”
উল্লেখ্য, এর আগে ওবিসি শংসাপত্র সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়। কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নেতৃত্বে, নির্দেশ দেয় যে ২০১০ সালের পর ইস্যু হওয়া সমস্ত ওবিসি শংসাপত্র বাতিল করা হবে। এই রায় ঘোষিত হয় গত ২২ মে।
এই রায়ের ফলে রাজ্যে প্রায় ১২ লক্ষ ওবিসি শংসাপত্র কার্যকারিতা হারায়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে রাজ্য সরকার এবং অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়।
মঙ্গলবার রাজ্যের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী নতুন করে যাচাই ও পর্যালোচনার কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে রাজ্যের আরও কিছু সময় প্রয়োজন বলে জানানো হয়। বিচারপতি গবই রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করে স্পষ্ট করেন, মামলার পরবর্তী দিকনির্দেশনা নির্ভর করবে রাজ্য সরকার পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ নেয়, তার উপর।
শীর্ষ আদালত আরও জানায়, নতুন সমীক্ষার বিষয়ে বিরোধী পক্ষের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তিন মাস পর মামলার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে ফের শুনানি হবে।
Leave a comment
Leave a comment