এক সময় বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত প্রেমকাহিনিগুলোর মধ্যে ছিল সলমন খান ও ঐশ্বর্যা রাইয়ের সম্পর্ক। প্রেমের গল্প শুরু হয়েছিল ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবির শুটিং সেটে, যেখানে সলমন ও ঐশ্বর্যার ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। সেই সময় তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বিনোদন দুনিয়ায় চর্চা ছিল তুঙ্গে। তবে ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে সম্পর্কটি বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সলমনের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর ঐশ্বর্যার জীবনে জায়গা করে নেন বিবেক ওবেরয়।
তবে বিষয়টি নিয়ে তখনই নানা ধরনের গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। বলা হয়, সলমন এই ঘনিষ্ঠতাকে ভালোভাবে নেননি। এমনকি, বিবেককে নিয়ে বেশ কিছু বিতর্কিত পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল, যা একসময় সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নেয়। তবে তাঁদের সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি, অল্প সময়ের মধ্যেই তা অতীতের অধ্যায়ে পরিণত হয়। এতদিন ধরে যা জানা গিয়েছে, সেটি আদৌ বাস্তব নাকি কেবলই কল্পনা—তা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
সম্প্রতি এক সাংবাদিক এই বিষয়ে ভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, ঐশ্বর্যা ও বিবেকের মধ্যে এমন কোনও বিশেষ সম্পর্কই গড়ে ওঠেনি, যেটিকে প্রেম বলা যায়। এই সম্পর্ক নিয়ে প্রচারিত অনেক তথ্যই হয়তো সংবাদমাধ্যমের তৈরি, যা বাস্তবের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না।
এমনকি, এই ধরনের গুঞ্জনই সলমন ও ঐশ্বর্যার দূরত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল বলে মনে করেন অনেকে।
তাহলে সলমন ও ঐশ্বর্যার সম্পর্ক ভাঙার মূল কারণ কী ছিল? সূত্রের দাবি, তাঁদের বিচ্ছেদের পেছনে পরিবার ভূমিকা ছিল। ঐশ্বর্যার বাবা-মা সম্পর্কে নিশ্চিত ছিলেন না এবং সন্দেহ করেছিলেন যে সলমন এটি কতটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। এই মতের পার্থক্যই শেষ পর্যন্ত তাঁদের আলাদা হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
Leave a comment
Leave a comment