ঢাকা ও কলকাতা—বাংলাদেশে টক শো-তে বাস্তব পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করাই কি অপরাধ? এমনই প্রশ্ন তুললেন অভিনেতা ও বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জেরেই গ্রেফতার হয়েছেন সে দেশের নাট্যকর্মী এহসানুল আজিজ বাবু। সঞ্চালিকা দীপান্বিতা মার্টিনেরও খোঁজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, যার ফলে তিনি গা ঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশের ইউটিউবভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম ‘বাংলা কথা’-তে আয়োজিত টক শো’তে অংশ নেন রুদ্রনীল। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী এবং সঞ্চালিকা দীপান্বিতা মার্টিন। রুদ্রনীলের বক্তব্য, আলোচনায় বাংলাদেশের বর্তমান আর্থ-সামাজিক অবস্থা, ক্রমবর্ধমান অপরাধপ্রবণতা, সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, এবং অবাধ নির্বাচনের দাবির মতো বিষয় উঠে আসে। এরপরই নড়ে চড়ে বসে প্রশাসন।
বুধবার সকালে ফেসবুকে একটি পোস্টে ক্ষোভ উগরে দেন রুদ্রনীল। তিনি লেখেন, সত্য বললেই বাংলাদেশে জেল বা খুন! আমাদের টক শো-এর পরই গ্রেফতার হলেন থিয়েটার কর্মী ও সমাজকর্মী এহসানুল আজিজ বাবু। জাতীয় পুরস্কারজয়ী সঞ্চালিকা দীপান্বিতা মার্টিনকেও গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। তিনি ইতিমধ্যেই বাড়িছাড়া।
রুদ্রনীলের দাবি, টক শো চলাকালীন তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশেরই কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই এখন আতঙ্কিত। তিনি আরও বলেন, শুধু সংখ্যালঘুরাই নয়, সত্যি বলতে চাওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠরাও বাংলাদেশে ভীত ও নিপীড়িত। ৯৫% নিরীহ মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন মাত্র ৫% ক্ষমতালোভীদের জন্য।
এই ঘটনায় বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ রুদ্রনীলের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন, আবার কেউ তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। তবে এক টক শো-এর কারণে নাট্যকর্মী ও সঞ্চালিকার ওপর প্রশাসনের এমন পদক্ষেপ গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।