নিজে সই করে আর্জেন্টিনার 10 নম্বর জার্সি মমতাকে পাঠালেন লিওনেল মেসি
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
২০১১ সালের পর ফের ২০২৬। আগামী জানুয়ারি মাসে ফের কলকাতায় আসতে পারেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। ফুটবল অন্ত প্রাণ বাংলার ফুটবল প্রতিবার অন্বেষণে লিও মেসির পর্যবেক্ষণ একটি ফুটবল একাডেমি তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতার অন্যতম ফুটবল কর্তা শতদ্রু ঘোষ আমেরিকায় গিয়ে লিও মেসির সঙ্গে এই ব্যাপারে কথাবার্তা বলেছেন। কথা হয়েছে লিওনেলের বাবা জর্জ মেসির সঙ্গেও। জানা গেছে এ ব্যাপারে যথেষ্ট আগ্রহ প্রকাশ করেছেন লিও। কলকাতার ফুটবলের উন্মাদনা এবং মোহনবাগান ইস্টবেঙ্গল দ্বৈরথ নিয়ে তাদের এবং তার পরিবারের যে যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে সে কথাও আলোচনায় বারবার উঠে এসছে বলে জানিয়েছেন শতদ্রু। উল্লেখযোগ্য, ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের ব্যবস্থাপনায় কলকাতার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফিফার অনুমোদনে আর্জেন্টিনা বনাম ভেনিজুয়েলা একটি প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করা হয়। যে ম্যাচে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলেছিলেন লিওনেল মেসি এবং ১-০ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল মারাদোনা-মেসির দেশ। কলকাতায় এসেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র দিয়েগো ম্যারাদোনাও। অর্থাৎ কলকাতা ফুটবলের সঙ্গে আর্জেন্টিনা তারকা ফুটবলারদের একটা যোগসূত্র আগে থেকেই তৈরি হয়ে রয়েছে। আর তারই সূত্র ধরে এবার নিজের সই করা আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের জার্সি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠালেন ফুটবলের জাদুকর লিওনেল মেসি। সম্প্রতি আমেরিকায় গিয়ে মেসির সঙ্গে দেখা করেন শতদ্রু ঘোষ। সেখানে ফুটবল একাডেমি নিয়ে আলাপ আলোচনার পাশাপাশি কলকাতার ফুটবল এবং তা নিয়ে রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তাকে জানানো হয়। প্রসঙ্গক্রমে ফুটবলের প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আকর্ষণের কথাও ওঠে। ইতিমধ্যেই ২০১১ সালে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন মেসি। সে কথা মাথায় রেখে এবং কলকাতার ফুটবলের প্রতি মেসি পরিবারের আবেগের কথা জানিয়ে আরোখ হিসেবে নিজে আর্জেন্টিনার জাতীয় দলের ১০ নম্বর জার্সিতে ” ম্যাডাম দিদি” লিখে নিজে সই করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য পাঠিয়ে দেন মেসি। বুধবার কলকাতার নবাব আলি পার্কে ‘দাওয়াত-এ-ইফতার’ অনুষ্ঠানে ফ্রেমে বাঁধিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘ম্যাডাম দিদি’র হাতে সেই জার্সি তুলে দেন শতদ্রু ঘোষ। আর সেই জার্সি পেয়ে স্বভাবতই আপ্লুত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ” ফুটবল হল একটা আবেগ, যা আমার শিরায়-শিরায় আছে। পাড়ার মাঠে যে কোনও সময় বলে শট মারা প্রতিটি ব্যক্তির মতোই আমার অবস্থা। আর আজ সেই আবেগ একটা অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। কারণ আমি লিওনেল মেসির সই করা জার্সি পেয়েছি। ফুটবলের প্রতি যে ভালোবাসা আছে, সেটা আমাদের একসূত্রে গেঁথে দিয়েছে। আর আমাদের যুগের কিংবদন্তি তথা ফুটবলের শিল্পী মেসি তো এক অভাবনীয় প্রতিভা। বাংলা এবং ফুটবলের মধ্যে যে অবিচ্ছেদ্য যোগসূত্র আছে, সেটার প্রতীক হল এই জার্সিটা।”