প্রায় ১৫ মাসের অপেক্ষার পর, অবশেষে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় পেল তাদের নতুন স্থায়ী উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং বিশিষ্ট কৃষি বিজ্ঞানী প্রবীরবাবু দায়িত্ব গ্রহণের পরই র্যাঙ্কিং উন্নতির লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন।
২০২৪ সালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশনাল র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক (NIRF) তালিকায় প্রথম ১০০-তে জায়গা না পাওয়ার পর থেকেই বিশ্বভারতীকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এই পতন শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামেই আঘাত করেনি, বরং শিক্ষার্থীদের মনোবলকেও দুর্বল করে দেয়। নতুন উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পরই র্যাঙ্কিং উন্নতিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রবীর কুমার ঘোষের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছিল বিশ্বভারতী থেকেই। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি এখানকার ছাত্র ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ICAR-National Institute of Biotic Stress Management-এর পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এবং একাডেমিক দক্ষতার সমন্বয়ে তিনি বিশ্বভারতীর উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখার পরিকল্পনা করেছেন।
বিশ্বভারতীর র্যাঙ্কিং পতনের পেছনে রয়েছে গবেষণার মান, পরিকাঠামোর দুর্বলতা, সমাজের সব স্তরের পড়ুয়াদের অন্তর্ভুক্তি এবং প্রাক্তনীদের কর্মজীবনে সাফল্য—এই সমস্ত মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ার কারণ। প্রবীরবাবু এই ক্ষেত্রগুলিতে বিশেষভাবে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। পরিকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণার গুণগত মান বৃদ্ধি এবং শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশে তিনি উদ্যোগী হবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মী ও শিক্ষার্থীরা নতুন উপাচার্যের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁদের আশা, প্রবীর কুমার ঘোষের নেতৃত্বে বিশ্বভারতী আবারও তার গৌরবময় অবস্থানে ফিরে আসবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন যাত্রা শিক্ষাক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলেই সকলের বিশ্বাস।
বিশ্বভারতীর র্যাঙ্কিং পুনরুদ্ধারের এই লড়াইয়ে প্রবীর কুমার ঘোষের নেতৃত্ব বিশ্ববিদ্যালয়কে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে, এমনটাই আশা সকলের।