পরিতোষ সাহা:বীরভূম
শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে বগটুইয়ে বিজেপির শেষ সলতে নিভে গেল।শহিদ পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন।
২০২২ সালের ২১ মার্চ রাতে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বগটুই মোড়ে বোমের আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৎকালীন উপপ্রধান ভাদু শেখ।সেই রাতেই ভাদুর অনুগামীরা বগটুইয়ের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়।সেই ঘটনা চমকে দিয়েছিল গোটা বাংলা ও দেশকে।
২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মিহিলাল শেখ ও তার পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন।নির্বাচনের আগে বগটুই গ্রামে মিহিলাল শেখের বাড়ির কাছে রাস্তার দুই ধারে বিজেপি ও তৃণমূল আলাদা করে দুটি শহিদ বেদি গড়ে তোলে।সে বছর বিজেপির শহিদ বেদিতে মাল্যদান করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটে মিহিলাল শেখের পরিবারের তিন সদস্য ভোটে জিততে পারেননি।পরে মিহিলাল শেখ বাদ দিয়ে বাকিরা তৃণমূলে যোগ দেন।
তিন বছর বাদে সেই ২১ মার্চ শহিদ দিবসের দিনে তৃণমূলের মঞ্চে মিহিলাল শেখ।ক্ষমা চাইলেন মঞ্চে থাকা রামপুরহাটের বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।মিহিলাল শেখ বলেন,“দু’বছর আগে আমাদের পরিবার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি।উনি যেন আমাদের ক্ষমা করেন। আমি বিজেপিতে ঢুকে ভুল করেছি।”পাশাপাশি মিহিলাল শেখ, আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজের বাড়িতে চা চক্রে আমন্ত্রণ করলেন।আর এমন দিনে এই ঘটনা ঘটলো যেদিন,মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে রামপুরহাট মহুকুমা দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।বগটুই গ্রামে বিজেপির শেষ সলতে নিভে গেল।তৃণমূলে যোগ দিলেন মিহিলাল শেখ।
বগটুই গ্রামে শহিদ দিবসের দিনে ৫ কিলোমিটারের দূরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতি থাকলেও,তিনি বগটুই গ্রামে গেলেন না।তিনি বলেন,“ওদের ভোট আমরা চাই না।ওরা আগেও আমাদের ভোট দেয়নি।”