কর্নাটকের বিধানসভায় বিস্ফোরক দাবি করে রাজ্য রাজনীতিতে আলোড়ন তুললেন কো-অপারেটিভ মন্ত্রী কেএন রাজন্যা। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তত ৪৮ জন মন্ত্রী হানি ট্রাপের ফাঁদে পা দিয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও রয়েছেন। এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
কেএন রাজন্যার দাবি, হোয়াটসঅ্যাপ কল এবং মেসেজের মাধ্যমে এই ফাঁদ পাতা হচ্ছে। গত ছয় মাস ধরে মন্ত্রীদের টার্গেট করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। তবে গত দুই মাসে বিষয়টি বেশি করে সামনে এসেছে। তাঁর মতে, শুধুমাত্র কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়, বিভিন্ন দলের নেতা-মন্ত্রীরাই এই ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন। এই ঘটনা গোটা রাজ্যের রাজনীতিকে কাঁপিয়ে দিয়েছে এবং তিনি উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
রাজন্যার বক্তব্যের পরেই কর্নাটকের আরেক মন্ত্রী সতীশ জারকিহোলি জানান, তাঁকেও দুইবার হানি ট্রাপে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে দুইবারই তিনি সেই ফাঁদ এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। সতীশের অভিযোগ, রাজনৈতিক স্বার্থে পরিকল্পিতভাবে এই ফাঁদ পাতা হচ্ছে। তিনি কেএন রাজন্যাকে বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এই অভিযোগে বিজেপির প্রতিক্রিয়াও গুরুত্ব পেয়েছে। কর্নাটকের বিজেপি নেতা সিটি রবি জানিয়েছেন, সতীশ জারকিহোলি একজন অভিজ্ঞ নেতা, তাঁর অভিযোগের পেছনে নিশ্চয়ই সত্যতা রয়েছে। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি তদন্তের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, এটি শুধু একটি দলের সমস্যা নয়, বিরোধী দলের দায়িত্বও এই চক্রান্তকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখা।
এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর কর্নাটকের রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনার ঝড় উঠেছে। একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নাম জড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেউ বিষয়টিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ দ্রুত তদন্তের দাবি তুলছেন। তবে আসল সত্যি প্রকাশ্যে আসতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে।