আরজি কর হাসপাতালের গণধর্ষণ মামলায় সিবিআই-এর তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মামলার শুনানিতে সিবিআই-এর তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানতে চায়, নির্যাতিতা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না।
বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিবিআই-এর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদারকে প্রশ্ন করেন, “এটা গণধর্ষণ না ধর্ষণ? যদি গণধর্ষণ হয়, তাহলে সন্দেহভাজন কারা? চার্জশিটে কারা নাম রয়েছে?” বিচারপতি আরও প্রশ্ন তোলেন, “একটি চার্জশিটের পর আর কোনও চার্জশিট কেন দাখিল করা হয়নি? একজনের সাজা হয়েছে, অথচ তদন্ত কি এখানেই থেমে গেল?”
সিবিআই-এর আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতের কাছে আরও কিছু সময়ের আবেদন জানান। এর উত্তরে বিচারপতি বলেন, “আপনাদের সব অফিসার প্রস্তুত থাকলেও কেন আরও সময় প্রয়োজন?”
এই সুযোগে রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-এর তদন্তের গতির সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেল, সিবিআই এখনো কেন এই তদন্ত শেষ করতে পারল না? নির্যাতিতার পরিবার বিশেষ আদালতে আবেদন না করে হাইকোর্টে কেন এসেছে?”
নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী সুদীপ্ত মৈত্র মামলার পরবর্তী তদন্ত আদালতের নজরদারিতে রাখার আবেদন জানান। তিনি পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দিয়ে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠনের দাবিও তোলেন।
এদিকে, নির্যাতিতার পরিবার অভিযোগ করে যে সিবিআই এখনও হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষী এবং নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। তাই আদালতের কাছে সিবিআই-এর স্ট্যাটাস রিপোর্ট চাওয়ার আবেদন করা হয়।
কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ২৮ মার্চ। সেদিন সিবিআই-এর পক্ষ থেকে বিস্তারিত স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
