রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বর্তমানে রয়েছেন লন্ডনে। তিনি ভাষণ দেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে। পোস্টার হাতে নিয়ে ঠিক সেই সময়ে আরজি কর ধর্ষণ ও খুন কাণ্ড, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করেন বেশ কিছু জন প্রতিবাদী। বিষয়টিকে অসভ্যতামি বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এবার কিভাবে সামাল দিলেন মমতা? তাঁর দাবি, অতিবাম, বাম এবং কয়েকটি সাম্প্রদায়িক শক্তির উস্কানি আছে অক্সফোর্ডের বিশৃঙ্খলার পিছনে। মেজাজ না হারিয়ে বিক্ষোভকারীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্লিজ, হ্যাভ অ্যা গুড স্লিপ, বিউটিফুল স্লিপ উইথ ইয়োর গুড অ্যাজেন্ডা”।
মমতা এদিন আরও বলেন, “আপনারা আমায় স্বাগত জানাচ্ছেন। আপনাদের আমি মিষ্টি দেব। ভালো মিষ্টি দেব। আমি খুব খুশি যে আপনারা আমায় স্বাগত জানাচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদের চকোলেট পাঠাব। আর আপনাদের মতাদর্শকে চকোলেট পাঠাব।” সেইসঙ্গে কিছুটা খোঁচা দিয়ে বলেন, “এটা ওদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে। ওরা নিজেদের স্বভাব পালটাতে পারে না। এটা ওদের স্বভাব। আমি যেখানেই যাই, (সেখানে শুরু করেন)।”
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে ‘ড্রামা’ করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, যদি আপনার রাজনৈতিক মঞ্চের প্রয়োজন হয়, তাহলে বাংলায় যান আর নিজের দলকে বলুন যে সাম্প্রদায়িক লোকজনদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য যেন আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। আমার সঙ্গে লড়াই করবেন না।” অক্সফোর্ডে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি কথা কে মিথ্যে বলে দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। এই শুনে মমতা বলেন, “টাটা, কগনিজ্যান্ট ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। আমি মিথ্যে বলছি না। (হাতজোড় করে) মাই ব্রাদার, দয়া করে শুনুন। আমি যেটা বলছি, সেটা দয়া করে শুনুন। আপনারা যদি কোনও প্রশ্ন করেন, তাহলে আমি খুব খুশিই হব। আমি কিছু মনে করব না।”
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল বলেন,”দেশকে অপমান করছেন কেন? এসব না করে বাংলায় আপনাদের দলগুলিকে শক্তিশালী হতে বলুন। আপনাদের নেতারা কোথাও গেলে এসব হলে সামলাতে পারবেন? আসলে ঈর্ষার কোনও ওষুধ হয় না। আমার পদবি ব্যানার্জি, মানে এনার্জি।” তাঁর কথায়, “অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ফুল ফর্মে মুখ্যমন্ত্রী। ছ’পিস রাম-বামের বাঁদরামি উড়িয়ে ছক্কার ব্যাটিং। প্রথমে ওঁনাকে ঘুরিয়ে দেখাল কর্তৃপক্ষ। তারপর অধ্যাপকদের সঙ্গে বৈঠক হল, কথোপকথন হল। তারপর মূল ভাষণ। দর্শকরা ছ’পিস বাঁদরকে তাড়ালেন ঠিকই, কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ওঁদের পাত্তা না দিয়েই ফাটিয়ে বক্তৃতা দিলেন। প্রবাসীরা, বিদেশিরা উচ্ছ্বসিত”।
