রাজভবনের বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ ওয়েবকুপার
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাতের শিরোনামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের অধিকার নিয়ে যখন নবান্ন রাজভবনের সংঘাত আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে তখন ফের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে অব্যাহতি দিল রাজভবন। অধ্যাপক হিসেবে আগামী 31 মার্চ কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ভাস্করবাবুর। তার আগেই গতকাল রাতে ভাস্কর গুপ্তকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উল্লেখযোগ্য ইতিমধ্যেই রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের কাছে ভাস্কর গুপ্ত জানতে চেয়েছিলেন ৩১ মার্চ তার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।তাই এই পরিস্থিতিতে তার করণীয় কি? অবিলম্বে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তর আচার্য তথা রাজ্যপালকে আবেদনও জানায়। অথচ স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের আগেই অন্তর্ভুক্তি উপাচার্য ভাস্কর গুপ্তকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল রাজভবন। রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার যে নিয়োগের যে প্যানেলের নাম তালিকা রাজ ভবনে পাঠানো হয়েছে সেখানে নাম রয়েছে ভাস্কর গুপ্তেরও। যদিও তড়িঘড়ি থাই উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত না নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে অন্তবর্তী উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া নিয়ে রাজভবনের সিদ্ধান্ত বিতর্ক তুলেছে শিক্ষামহলে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কর্তৃত্ব রাজ্য সরকারের হাতে নয় তা অধিগ্রহণ করেছে আজ ভবন এই অভিযোগে ফের সরব হয়েছেন অধ্যাপক মহল। থাই উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজভবন বেআইনিভাবে যেমন একতরফা অধিকার ভোগ করতে চাইছে তেমনি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা করছেন রাজ্যপাল বলে সরাসরি অভিযোগ জানিয়েছে ওয়েবকুপা।
প্রসঙ্গত, কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, ঝাড়গ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় সহ ১৭ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে সিলেকশন কমিটি তাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করলেও রাজভবনের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নামও রয়েছে। উল্লেখযোগ্য ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা তাদের কার্যভার সামলান। আগামী 31 মার্চ ভাস্কর গুপ্তের ৬৫ বছর বয়স পূর্ণ হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভাস্কর বাবুকে মেয়াদের আগেই অন্তর্বর্তী উপাচার্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দেড় বছর আগে ৬৫ বছর পেরিয়ে যাওয়া অন্তর্ভুক্তি উপাচার্যের ক্ষেত্রে কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি রাজভবন। সিলেকশন কমিটির পক্ষ থেকে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী উপাচার্যের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে দ্বিচারিতা করছে রাজভবন বলে অভিযোগ তুলেছে ওয়েবকুপা।
