দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ বরাদ্দ মিলল। নবান্ন সূত্রে খবর, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের আওতায় রাজ্যের জন্য ৩৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই অর্থ আটকে ছিল প্রায় দুই বছর। অবশেষে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের পর রাজ্য সরকারের হাতে এল এই বরাদ্দ অর্থ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই অর্থ আটকে থাকার পিছনে ছিল একটি বড় কারণ—নাম পরিবর্তনের জটিলতা। রাজ্যের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলিকে ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য কেন্দ্র’ নামে রূপান্তর না করলে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাওয়া সম্ভব নয় বলে আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কেন্দ্র। রাজ্য সরকার প্রথমে এই শর্ত মানতে আপত্তি জানায়। এর ফলে কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য অর্থ পাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে রাজ্য সরকার তাদের হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারগুলিকে ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য কেন্দ্র’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার পরেই রাজ্যের জন্য বরাদ্দ অর্থ অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের ডিরেক্টর এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবকে এই অর্থ বরাদ্দের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। এই অর্থ গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন, চিকিৎসা পরিষেবা সম্প্রসারণ এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির আধুনিকীকরণের কাজে ব্যয় করা হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অর্থ রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র-রাজ্যের টানাপোড়েনের কারণে সাধারণ মানুষ উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছিলেন। নতুন বরাদ্দ আসার ফলে রাজ্যের গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো আরও মজবুত হবে এবং সাধারণ মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবেন।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই অর্থ দ্রুত কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য প্রকল্পগুলিকে আরও শক্তিশালী করা হবে। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়ন অব্যাহত থাকে, সেই চেষ্টাও করা হবে।