চিলে কোঠার ছোট্ট ঘরে কাটিয়েছেন সারাটা জীবন।। ভারতরত্ন বিসমিল্লা খানের বেনারসের সেই চিলে কোঠার স্মৃতি আগলে আজকের প্রজন্ম।বলা ভালো জন্নতের অন্যতম ঠিকানা ওই চিলে কোঠা।।
সকাল থেকে রাত প্রতিদিন নিয়ম করে বিশ্বনাথের মন্দির প্রাঙ্গণে, গঙ্গার ঘাটে, চিলে কোঠার খাটিয়ায় সানাইয়ের সুরে ছেদ পড়তো না,ঘুম থেকে উঠতেন সানাইয়ের সুরে রাত ও নামতো সানাইয়ের সুরে দাদাজীর স্মৃতিচারণ নাতি আসাদ আব্বাসের।
দাদাজির খাটিয়ায় সাজানো সানাই, ভারতরত্ন বিসমিল্লা খানের ব্যবহৃত টুপী, চাদর, তাকিয়া,ভারত মায়ের পতাকা।। আর ওই ছোট্টো ঘরে অসংখ্য ফোটো।।
এসেছেন বহু গুনীজন, এসেছে বিদেশের মাটিতে স্থায়ী বসবাসের প্রস্তাব কিন্তু কোনো ডাকেই সাড়া দেননি তিনি, বিশ্বনাথের মন্দির, বালাজি, আর মা গঙ্গা ছেড়ে যাওয়ার কথা মনে ও আনেননি বিসমিল্লা।।
ভালোবাসার খাবার ছিলো রুটি গাওয়া ঘি আর নুন….
এহেন নক্ষত্রের সাদা মাটা জীবন ।।
বর্তমান প্রজন্ম জানালেন উনি সবাই কে নিয়ে থাকতে ভালোবাসতেন,আজ পর্যন্ত ১২৫জন তাদের বেনারসের এই বাড়ীর জনসংখ্যা।।
এই প্রজন্মের সবাই একসাথেই থাকেন বিসমিল্লা খানের দেখানো পথেই।।।
বেনারসের সরু গলির আঁকাবাকা পথ ধরে শেষ না হওয়া পথ , তারপর পুরোনো সরু সিঁড়ি বেয়ে চিলে কোঠার ঘর।
যেখানে বিসমিল্লা খান সশরীরে নেই কিন্তু কান পাতলেই মঙ্গল ধ্বনির সুরের মূর্ছনা আজ ও ভেসে আসে বৈকি চেতনে।।
কিন্তু সঙ্গীত জগতের এ হেনো ধ্রুবতারার সংরক্ষনের ক্ষেত্রে এতো উদাসীনতা !!প্রশ্ন ওঠে বৈকি!!
Leave a comment
Leave a comment
