খেলা ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল বীরভূমের সিউড়ি থানার গোপালপুর এলাকা! পঞ্চায়েত সদস্যার অনুগামী বনাম প্রভাবশালী গোষ্ঠী— তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ভয়ংকর সংঘর্ষ। ব্যাপক ইটবৃষ্টি, বাঁশ-লাঠির রক্তক্ষয়ী তাণ্ডব, ভাঙচুর আর মারধরের ঘটনায় কেঁপে উঠল গোটা গ্রাম। আহত অন্তত ১০-১২ জন, ভর্তি সিউড়ি সদর হাসপাতালে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হলেও থমথমে পরিস্থিতি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার গোপালপুরে চলছিল একখানা খেলা। খেলার উত্তেজনার মাঝেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে শুরু হয় তীব্র সংঘর্ষ। একদিকে শেখ জালালউদ্দিন গোষ্ঠী, অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা রওসানাড়া বিবির অনুগামীরা। অভিযোগ, সরকারি প্রকল্পের টাকার দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত।
একপক্ষের দাবি, রওসানাড়া বিবির লোকজন প্রথমে আক্রমণ চালায়। তাঁদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সদস্যা সরকারি প্রকল্প থেকে টাকা তোলেন, আর যখনই কেউ প্রতিবাদ করে, তখনই গায়ের জোরে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে পঞ্চায়েত সদস্যার লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হয়, চলে লাঠি-ইটের বর্ষণ।
অন্যদিকে, রওসানাড়া বিবির শিবিরের পাল্টা অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে অশান্তি পাকানোর চক্রান্ত করা হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, অপর গোষ্ঠীর লোকজনই নেশাগ্রস্ত হয়ে গোলমাল পাকিয়ে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে।
সংঘর্ষের খবর পেয়েই এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উত্তেজনা রয়েছে। এলাকার মানুষ আতঙ্কে।
কেন্দুয়া পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি শেখ জালালউদ্দিন বলেন, “গোপালপুরে শান্তিপূর্ণভাবেই খেলা চলছিল। দিলীপ নামে এক ব্যক্তিকে আগেই নেতৃত্ব থেকে সরানো হয়েছিল, সে-ই এসে লোকজনকে উসকানি দিয়ে ঝামেলা বাঁধায়।”
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, গ্রামীণ এলাকায় ক্ষমতার লড়াই এবং সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে চাপানউতোরই এই সংঘর্ষের মূল কারণ। এখন দেখার, প্রশাসন কবে এই অশান্তির স্থায়ী সমাধান করতে পারে!