উপেন্দ্র নাথ কল্যা
হুগলি জেলার চাষিরা ক্যাপসিকাম চাষ করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছেন। বিশেষ করে ধনিয়াখালি এলাকার চাষীরা। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় এবার আলু ; পিয়াজ. সর্ষে ছেড়ে ক্যাপসিকামে মন দিয়েছেন চাষীরা। ক্যাপসিকাম চাষে ভালো বাজার থাকলে লক্ষাধিক টাকা লাভের মুখ দেখতে পান আর খারাপ হলে কুড়ি থেকে ত্রিশ হাজার। তাই নিজের জমি ছাড়াও শুরু করেছেন ক্যাপসিকাম চাষ। বেশ কয়েক বছর আগে এই ক্যাপসিকাম অর্থাৎ অনেকে একে বিলাতি লঙ্কাও বলে থাকেন এক সময় এই চাষে কোন মার্কেট ছিল না চাষীদের হাওড়ার ও কলকাতার মার্কেটের উপর ভরসা করে চাষ করতে হতো। কিন্তু এখন চাষিরা জমি থেকে তুলেই তাদের ফসল সাইকেলে ভ্যানে মোটর বাইকে নিয়ে গিয়ে মার্কেটে পৌঁছে দেন অর্থাৎ বাড়ির পাশেই পাইকররা তাদের চার চাকা নিয়ে হাজির হন সেখানে বাছাই করে একটু কমা ও বাতিল ক্যাপসিকামকে বাদ দিয়ে চাষীদের থেকে সরাসরি কিনে ওজন করে প্যাকেটজাত করে। শুধু জেলা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পাঠিয়ে দেন সরাসরি চাষীদের থেকে কেনার ফলে চাষিরা একটু লাভবান হন আমরা এই চাষ হচ্ছে ধনিয়াখালির কানাজুলি এলাকা সেখানে বিঘার পর বিঘা,জমিতে ক্যাপসিকাম চাষ হয়েছে চাষিরা লেবার দিয়ে সেই ফসল তুলে সরাসরি তুলে দিচ্ছে পাইকরদের হাতে। প্রথম মাঠ থেকে তুলে বস্তাবন্দী করে মাথায় করে নিয়ে এসে পাইকরদের কাছে বিক্রি করেন গতবার লাভটা বেশি ছিল কারণ বাংলাদেশ যেত এই ধনিয়াখালীর ক্যাপসিকাম এবারে বাংলাদেশে মাল কম যাচ্ছে তাই বাজারটা একটু কম আছে বলে জানান চাষী থেকে পাইকর সকলেই। অনেক চাষী এক বিঘা দু বিঘা নয় আট দশ বিঘা করে চাষ করছেন। অনেকে নিজের জমি অনেকের লিজ নিয়ে এই ক্যাপসিকামে লাভের মুখ দেখছেন। আগামী দিন বলবে, হুগলি জেলায় ক্যাপসিকাম চাষ আরও বেশি করে হবে কি না।