পরিতোষ সাহা:বীরভূম
শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ে চিনের সাথে মউ সাক্ষরের পথে এগোচ্ছে বিশ্বভারতী।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৪ সালে চিন যাত্রা করেন।তারই শতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়ে গেল বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে।মঙ্গলবার দু’দিনের আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা হয়।আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ,কোলকাতায় চিনের কনস্যুলেট জেনারেল স্কুবে,ভাষা ভবনের অধ্যক্ষ মৃণালকান্তি মণ্ডল,চীনা ভাষা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনোরঞ্জন মাহান্তি,অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিনের ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়,পেইকিং বিশ্ববিদ্যালয়,চিংকাংশন বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন প্রতিনিধি।এছাড়াও ভারতের বিশ্বভারতী,জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়,হায়দ্রাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়,দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ জন প্রতিনিধি।
প্রসঙ্গত,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে নোবেল পদক লাভের পর,১৯২৪ সালে প্রথম তিনি চিন যাত্রা করেন।পরবর্তীতে ১৯৩৭ সালে রবীন্দ্রনাথ ও তান ইউনশান শান্তিনিকেতনে চিনা ভবন প্রতিষ্ঠা করেন।এই ভবনেই চিনা ভাষা ও সংস্কৃতির চর্চা হয়।পাশাপাশি ২০২৫ সালও চিন-ভারতের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর।সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এই আন্তর্জাতিক আলোচনা সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
চিনের কনস্যুলেট জেনারেল স্কুবে বলেন,“ভারত-চিনের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় একটি ঐতিহ্য।বিশ্বভারতীর চিনা ভবন পারষ্পরিক শিক্ষা প্রসারেও বড় ভূমিকা পালন করেছে।” বিশ্বভারতীর চিনা ভবনের বিভাগীয় অধ্যাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন যাত্রার শতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান আমরা আয়োজন করি।২০২৫ সাল ভারত-চিনের কুটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর।করোনার আগে চিনের সাথে বিশ্বভারতীর তিনটি মউ সাক্ষর হয়েছিল।শিক্ষা,সংস্কৃতি,বইয়ের আদান-প্রদান,প্রভৃতি যৌথ আলোচনায় প্রস্তুত হত।তারপর সেটি বন্ধ থাকে।ফের চিনের সাথে বিশ্বভারতী নতুন করে মউ সাক্ষরের প্রস্তুতি শুরু করেছে।”