সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
এবার ঢোলাহাট বাজি বিস্ফোরণ কাণ্ডে সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য৷
অবৈধভাবেই চলছিল পাথরপ্রতিমার ঢোলাহাটের বাজি কারখানা। বুধবার নবান্নে এই রিপোর্ট জমা দিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসন। ২০২৩ সালে বাজি কারখানার জন্য লাইসেন্সের আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কেস থাকায় লাইসেন্স দেওয়া হয়নি। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লাইসেন্সের আবেদন খারিজ করে দেও জেলা প্রশাসন। তারপরও কারখানা বন্ধ হয়নি৷ অবৈধ ভাবেই জারি ছিল বাজি তৈরির কাজ কারবার৷
বুধবার নবান্নে পাঠানো রিপোর্টে এই তথ্যই জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবারই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাশাসকের কাছ থেকে ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয় নবান্নের তরফে।
প্রশ্ন উঠেছে, সএই অগ্নিকাণ্ডের পিছনে দায়ী দে? আইনের চোখে ফাঁকি দিয়ে কতদিন ধরে গৃহস্থ বাড়িতে চলছিল অবৈধ বাজি কারখানা? এবার তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য৷ ঘটনায় প্রকাশ, পাথরপ্রতিমায় বাজি বিস্ফোরণের ঘটনায় বণিকবাড়ির বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত বণিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবারই তাঁকে আটক করা হয়েছিল। বুধবার চন্দ্রকান্তকে কাকদ্বীপ আদালতে পাঠায় পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার বণিক পরিবারের আট সদস্যের। তাঁদের মধ্যে ছিল দু’জন সদ্যোজাত-সহ চার শিশুও। বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের সময় পরিবারের ১১ জন সদস্যের মধ্যে তিন জন বাড়িতে ছিলেন না। ওই তিন জন বাদে পরিবারের সকলেরই মৃত্যু হয়। ঘটনায় পরিবারের দু’জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
