রাজ্যের অর্থনীতির অগ্রগতি ইতিবাচক দাবি মুখ্যমন্ত্রীর
সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়
—-‐——————–
রাজস্ব আদায়ে আগের আর্থিক বছরগুলির তুলনায় গত আর্থিক বছরে অনেক বেশি এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ। গত আট ঠিক বছরে অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জিএসটি আদায় অতিরিক্ত ৪ হাজার ৮০৮ কোটি আয় হয়েছে রাজ্যের। শতাংশে নিরিখে অন্যান্য আর্থিক বছরের তুলনায় এই অগ্রগতি ১১.৪৩ শতাংশ। আজ সমাজমাধ্যমে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন ” ইতিবাচক পথেই এগিয়ে চলেছে রাজ্যের অর্থনীতি। রাজস্ব আয়ের প্রশ্নে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ।” নিজের এক্স হ্যান্ডেল এ মমতার দাবি, জিএসটি আয়ে জাতীয় গড় ৯.৪৪ শতাংশ। অর্থাৎ জিএসটি বাবদ আয়ে রাজ্যের সাফল্য জাতীয় গড়ের থেকে ২ শতাংশ বেশি বলেও জানিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই তথ্যের মাধ্যমেই স্পষ্ট যে রাজ্যের ক্রমবর্ধমান আর্থিক শক্তি ইতিবাচক পথেই এগিয়ে চলেছে। রেজিস্ট্রেশন এবং স্ট্যাম্প ডিউটির ক্ষেত্রে গত আর্থিক বছরে ৬০ হাজার বেশি ডিড নথিভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন ও স্টাম্প ডিউটি থেকে আয়ের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে রাজ্যের বলেও দাবি করেছেন মমতা। এই ঘটনা রাজ্যের বাজারে গতিশীলতা প্রমাণ করে বলেও দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, এই খাতে গত আর্থিক বছরে রাজ্যের আয় হয়েছে ১,৯০৮ কোটি টাকা। যা আগের বছর গুলির তুলনায় বৃদ্ধির হার ৩১.০৫ শতাংশ। ” এই তথ্যই প্রমাণ করে যে রাজ্য তথা পশ্চিমবঙ্গ আত্মনির্ভরতা এবং আর্থিক শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী” দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যের আর্থিক বিষয়গুলি রাজ্যবাসীর স্বার্থে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে পরিচালিত হচ্ছে এ কথা উল্লেখ করে রাজ্যের আর্থিক ক্ষেত্রে এই সাফল্যের জন্য অর্থ দপ্তরের সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সার্বিকভাবে বিগত বছরগুলিতে রাজ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে যেভাবে পরিষেবা মূলক কাজে সরকারি টাকা ব্যয় করা হয়েছে তাতে রাজ্য ও রাজনীতিতে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে। বিশেষ করে পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি বা ডোল পলিটিক্স হিসেবে রাজ্যের শাসক দল তথা রাজ্য সরকারের নীতি কে বার বার কটাক্ষ করা হয়েছে বিরোধীপক্ষের তরফ থেকে। রাজ্যের অর্থনীতির রসাতলে গেছে এই মর্মে গুলি থেকে রাজপথে রাজনৈতিক চর্চা মাথাচাড়া দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর্থিক অগ্রগতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য সেই প্রশ্নের জবাব ভুলে মনে করছেন প্রশাসনিক মহলের কর্তা ব্যক্তিরা।